নার্সিংয়ে পিএইচডি চালুর প্রস্তাব কোরিয়ার, বিবেচনার আশ্বাস ইউজিসির

ইউজিসির সঙ্গে কোইকা প্রতিনিধি দলের মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছেছবি: বাসস

দেশে বর্তমানে নার্সিং বিষয়ে ডিপ্লোমা, বিএসসি ও এমএসসি ডিগ্রি চালু আছে। শিগগির নার্সিং শিক্ষায় পিএইচডি চালুর প্রস্তাব দিয়েছে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা)। তাদের এ প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। ইউজিসির সঙ্গে কোইকা প্রতিনিধিদলের মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গত ৩১ অক্টোবর ইউজিসিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে গুণগত নার্সিং শিক্ষার এবং এ খাতে দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে। উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে এ খাতে আরও বেশি নজর দিতে হবে। নার্সিং বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি চালু করতে হলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আরও পড়ুন

মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদলকে জানান, এ বিষয়ে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। পিএইচডি ডিগ্রি চালু করার ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে নার্সদের ব্যাপক অবদান রয়েছে। তাঁদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনে উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে হলে এ খাতে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি করা উচিত। দক্ষ নার্স তৈরি হলে দেশে-বিদেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

কোইকার প্রতিনিধি অধ্যাপক থেহুয়াহ লি দেশের নার্সিং শিক্ষা ও গবেষণার ওপর একটি সার্ভে প্রতিবেদন তুলে ধরেন এবং জাতীয় নার্সিং উচ্চশিক্ষা ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের (নিয়ানার) মাধ্যমে বাংলাদেশে নার্সিং বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর দাবি জানান। তিনি বলেন, নার্সিংয়ের শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হলে এ খাতের শিক্ষা ও গবেষণা খাত বেগবান হবে। পিএইচডি ডিগ্রি চালুর বিষয়ে তিনি একটি নীতিমালা তৈরির ওপর গুরত্বারোপ করেন।

আরও পড়ুন

ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান বলেন, কোনো বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি চালু করতে হলে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার ও মান নিশ্চিত করার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। কমিশনের অতিরিক্ত পরিচালক জেসমিন পারভীন, যুগ্ম সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুহম্মদ নাজমুল ইসলামসহ ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।