শিক্ষকদের কর্মবিরতি ১৬ দিনে গড়াল

সর্বজনীন পেনশনের আওতাধীন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’ প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি। কলা ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবিটি ১ জুলাইয়েরছবি: দীপু মালাকার

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি অব্যাহত আছে। আজ মঙ্গলবার টানা ১৬ দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকেরা। ১ জুলাই তাঁদের এই কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।

শিক্ষকদের অন্য দুটি দাবি হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য উচ্চতর স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে (জ্যেষ্ঠ সচিবদের মতো বেতনকাঠামো) অন্তর্ভুক্ত করা।

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের আজ বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও সেটি হয়নি। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া এ তথ্য জানিয়ে বলেন, তাঁদের কর্মবিরতি চলবে।

এর আগে গত শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষকনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেখানকার আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তার পরদিন সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় কর্মসূচির বাস্তবায়ন এক বছর পেছানোর কথা জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।

আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে আগামী শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিক্ষক-কর্মচারীদের এ কর্মবিরতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না। প্রশাসনিক ভবনেও কোনো কাজ হচ্ছে না।

কর্মবিরতির অংশ হিসেবে প্রতিদিনের মতো আজও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে নিজেদের কথা তুলে ধরেন শিক্ষকেরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এই পেনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল সোমবার মিছিল করেছেন।