এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক গণিত অলিম্পিয়াড এশিয়ান-প্যাসিফিক ম্যাথমেটিক্যাল অলিম্পিয়াডের (এপিএমও) ৩৬তম আয়োজনে বাংলাদেশ দুটি রৌপ্যপদক ও পাঁচটি ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে। এ ছাড়া সম্মানজনক স্বীকৃতি পেয়েছে তিনজন। এপিএমও কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে (https://www.apmo-official.org/country_report/BGD/2024) এ ফলাফল ঘোষণা করে।
রৌপ্যপদক পাওয়া দুই শিক্ষার্থী হচ্ছে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ইমাদ উদ্দীন আহমাদ হাসিন ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নুজহাত আহমেদ দিশা।
ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে বরিশাল ক্যাডেট কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মুসাহিদ আহমদ, ঢাকা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এস এম এ নাহিয়ান, চট্টগ্রামের বাকলিয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জিতেন্দ্র বড়ুয়া, ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. নাফিজ নূর তাস্বীন ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মনামী জামান।
এ ছাড়া সম্মানজন স্বীকৃতি পেয়েছে বগুড়া জিলা স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল জারিফ, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের জাওয়াদ হামিম চৌধুরী, বরিশাল ক্যাডেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী খান আরিফ শাহরিয়ার মুনিম।
এপিএমওতে এ বছর ৩৯টি দেশের ৩৫৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এপিএমওর নিয়ম অনুযায়ী অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা হয়েছে নিজ নিজ দেশে। তবে ভৌগোলিক অবস্থান ও সময়ের ব্যবধানের জন্য দেশভেদে কয়েক ঘণ্টার সময় পার্থক্য হয়ে থাকে। বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হলেও এপিএমওর পরীক্ষা হয় অভিন্ন প্রশ্নে। অলিম্পিয়াডে গণিতের পাঁচটি সমস্যা সমাধানের জন্য চার ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়।
গত ১২ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিত এপিএমওতে সারা দেশ থেকে আসা প্রাক্-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ১২০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ১০ জনের ফলাফল এপিএমওর মূল আয়োজক কমিটির কাছে পাঠানো হয়।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ পর্বের এপিএমওর আয়োজন করে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।