কানাডায় ফল সেশনে পড়তে আসার প্রস্তুতি, বাড়ি ভাড়া: পর্ব-২
কানাডায় ফল সেশনে পড়তে আসার প্রস্তুতি, বিমানযাত্রা: পর্ব-১–এর ধারাবাহিকতায় আজ ছাপা হচ্ছে বাড়ি ভাড়া নিয়ে।
কানাডায় আসার আগেই বাংলাদেশ থেকে বাড়ি ঠিক করে আসতে হবে, তা না হলে আপনি বড় ধরনের সমস্যায় পড়বেন। এক রাতও যদি হোটেলে থাকতে হয়, তাহলে ১৫০ ডলারের বেশি খরচ হয়ে যাবে। তা ছাড়া ফল সেশনের সময় অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের সঙ্গে কানাডায় আসেন বলে হোটেলে জায়গা না–ও পেতে পারেন।
নতুন অবস্থায় কানাডায় বাড়ি ভাড়া পাওয়া কঠিন। বড় বড় অ্যাপার্টমেন্ট কোম্পানি কোনো গ্যারান্টর ছাড়া এবং এক বছরের কন্ট্যাক্ট ছাড়া বাড়ি ভাড়া দেয় না। ফলে নতুনদের বাড়ি পেতে সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে আপনাকে পরিচিত লোকজনের মাধ্যমে বাড়ি খুঁজে নিতে হবে।
প্রথমে খুঁজবেন, আপনি যে শহরে আসবেন, সেখানে আপনার কোনো আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পরিচিতজন আগে থেকে আছেন কি না। যদি কেউ থাকেন, তাঁর সাহায্য চাইতে পারেন। তাঁরা যে বাসায় থাকেন, সেখানে রুম খালি থাকলে বা তাঁদের সঙ্গে রুম শেয়ারও করতে পারেন, তা হবে সবচেয়ে ভালো। কারণ, শুরুতে একটি নতুন জায়গায় পরিচিত পরিবেশে থাকা ভালো। রুম শেয়ার করে কয়েক দিন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে তারপর নতুন বাসা খুঁজতে পারেন।
যদি পরিচতি কেউ না থাকেন, তাহলে কানাডার প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফেসবুক পেজ রয়েছে। আসার আগে সেই পেজগুলোয় আপনি আপনার আসার কথা জানাবেন এবং আপনার যে ধরনের রুমের প্রয়োজন হয়, সেটা লিখবেন। তা ছাড়া যে শহরে আসবেন, সেই শহরের বাংলাদেশিদেরও ফেসবুক পেজ রয়েছে, সেখানে লিখলেও তাঁদের সাহায্য পাবেন। কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আশপাশে বাংলাদেশিদের অনেক রেন্টাল প্রপার্টি আছে, সেখান থেকে বাড়ি ভাড়া পেতে পারেন।
এরপর দেখতে পারেন কানাডার রেন্টাল ওয়েবসাইটগুলো। কানাডা সবচেয়ে জনপ্রিয় রেন্টাল ওয়েবসাইট হচ্ছে www.kijiji.ca। এখানে বেজমেন্ট থেকে শুরু করে সব ধরনের রুম পাবেন, এমনকি এক মাসের জন্যও রুম চাইলে পাবেন। যেহেতু বাড়িওয়ালা আপনার অপরিচিত, তাই আপনাকে আগে থেকে অ্যাডভান্স দিতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে প্রতারণার শিকারও হতে পারেন, তাই সাবধান হতে হবে এ ধরনের ওয়েবসাইটে বাসা খোঁজার আগে। যদি একান্তই বাসা খুঁজে না পান, তাহলে এয়ার বিএনবিতে (Airban) কয়েক দিনের জন্য রুম নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে খরচ বেশি হবে।
যদি পরিচিত কেউ না থাকেন, তাহলে কানাডার প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ফেসবুক পেজ রয়েছে। আসার আগে সেই পেজগুলোয় আপনি আপনার আসার কথা জানাবেন এবং আপনার যে ধরনের রুমের প্রয়োজন হয়, সেটা লিখবেন। তা ছাড়া যে শহরে আসবেন, সেই শহরের বাংলাদেশিদেরও ফেসবুক পেজ রয়েছে, সেখানে লিখলেও তাঁদের সাহায্য পাবেন। কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আশপাশে বাংলাদেশিদের অনেক রেন্টাল প্রপার্টি আছে, সেখান থেকে বাড়ি ভাড়া পেতে পারেন।
আর যাঁরা বাসায় থাকতে চান না, তাঁদের জন্য কানাডার প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল (ডর্ম) আছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বা তার আশপাশে। টিউশন ফি জমা দেওয়ার সময় ডর্ম বুকিং দিতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, ডর্মগুলো অনেক ব্যয়বহুল। এখানে থাকা-খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা থাকলেও খরচ হবে দুই থেকে তিন গুণ বেশি।
যদি কোনো অ্যাপার্টমেন্টের রুম ভাড়া নেন, তাহলে ভাড়া পড়বে বেশি। কোনো বাসা যদি শেয়ার করে একটি রুমে থাকেন, তাহলে ভাড়া কিছুটা কম পড়বে। আর সবচেয়ে কম পড়বে যদি কোনো বাসার বেজমেন্টে (রুমের অর্ধেকটা মাটির নিচে) টরন্টো, ভ্যানকুভার এই ধরনের মেগা সিটিতে বাড়িভাড়া অনেক বেশি। এখানে একটি রুমের জন্য এক হাজার ডলারও লাগতে পারে। অন্যদিকে ছোট শহরগুলো, যেমন রেজাইনা, উইনিপেগ ধরনের শহরের ইউনিভার্সিটিগুলোর আশপাশে ৪০০ ডলার দিয়েও রুম পাবেন।
বাসাভাড়া কিছু বেশি হলেও পাবলিক ট্রানজিট (বাস বা ট্রেন) স্টপেজের হাঁটাদূরত্বে বাসা নেবেন। কারণ, শীতের সময় পাঁচ মিনিট হাঁটা কঠিন হয়ে যায়। মনে রাখবেন, কানাডার শীতের কয়েক মাস মাইনাস ১৫-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা স্বাভাবিক তাপমাত্রা। চলবে...