যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনের ৫০ হাজার শিক্ষককে যেভাবে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইউনেসকো
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্য যুদ্ধ চলে দেড় বছর ধরে। এ কারণে ইউক্রেনে শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে অনলাইন ও অফলাইন—দুভাবে চলে শিক্ষা কার্যক্রম। এরই মধ্য ডিজিটাল শিক্ষাদানের জন্য দেশটির ৫০ হাজার শিক্ষককে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ইউনেসকো এবং দেশটির শিক্ষা ও বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় এই প্রশিক্ষণ চালু করছে।
ইউনেসকোর ওয়েবসাইটে এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের অনেক শিক্ষার্থী এখনো ক্লাসরুমে শিক্ষাকার্য শুরু করতে পারেনি। ইউক্রেনের শিক্ষা ও বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৫ শতাংশ ঘরে বসে পড়াশোনা করছে। আর ৩০ শতাংশ হাইব্রিড ফরমেটে (অনলাইনে) পড়াশোনা করছে। গেল বছর, ইউনেসকো এবং তার সহযোগীরা ৫০ হাজার শিক্ষককে কম্পিউটার সরবরাহ করেছে। এখন ইউনেসকো শিক্ষকদের ডিজিটাল দক্ষতা বাড়াতে এবং দূরশিক্ষণে শিক্ষাদানে সহায়তা করতে অনলাইন প্রশিক্ষণ প্রদান করছে।
ইউনেসকোর শিক্ষাবিষয়ক সহকারী মহাপরিচালক স্টেফানিয়া জিয়ানিনি জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে, ইউনেসকো ইউক্রেনের শিক্ষকদের সহায়তা করেছে যাতে শিক্ষার্থীরা যুদ্ধের মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে। আমি তাদের কাজ, সহনশীলতা এবং উৎসর্গের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। যেহেতু নতুন শিক্ষাবর্ষ সবে শুরু হয়েছে, ইউনেসকো তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। কারণ, শিক্ষাই মূল ভিত্তি যার ওপর ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ তৈরি হবে।
ইউক্রেন–রাশিয়ার মধ্যকার যুদ্ধ ইউক্রেনের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভার ফেলেছে। এখানে স্কুলশিক্ষকেরা বাস্তুচ্যুত অবস্থায় আছেন। দূর থেকে বা হাইব্রিড ফরমেটে পাঠদান চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে। গুগল ডট ওআরজি/এর অর্থায়নে ইউনেসকো ‘ডিজিটাল শিক্ষক’ প্রশিক্ষণ চালু করেছে। এতে করে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যাবে।
ইউনেসকো এবং ইউক্রেনের বিশেষজ্ঞদের একটি দলের তৈরি অনলাইন প্রশিক্ষণে সাতটি মডিউল রয়েছে। এই মডিউলে শিক্ষকেরা নির্দিষ্ট প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করতে পারেন এবং ব্যবহারিক অনুশীলন, পরীক্ষা এবং অতিরিক্ত সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারেন।
ইউক্রেনের শিক্ষা ও বিজ্ঞান উপমন্ত্রী দিমিত্রো জাভগোরদনি বলেন, নতুন বছরে, ১ মিলিয়ন ইউক্রেনীয় শিক্ষার্থীকে দূর শিক্ষা গ্রহণ করতে হচ্ছে। যুদ্ধের মধ্যেও সকলের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল সহায়তা বাড়ানো প্রয়োজন। বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদ্যাপন করার সময়, আমরা ‘ডিজিটাল শিক্ষক’ প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষকদের ক্ষমতায়নের জন্য ইউনেসকোর সঙ্গে হাত মিলিয়েছি।