দেশের সমৃদ্ধির জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা প্রয়োজন: প্রাথমিক উপদেষ্টা

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মানিকগঞ্জের সিংগাইরের সানাইলে শ্রীশ্রী সর্বজনীন কালীমন্দিরে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সমবেত ভক্ত ও পূজারিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। ছবি: বিজ্ঞপ্তিছবি: বিজ্ঞপ্তি

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ‘আমরা একটা বিশেষ সময় পার করছি। আমরা একটা সংশয়ের মধ্যে ছিলাম যে শারদীয় দুর্গোৎসবটা কীভাবে হবে। সরকার এ ব্যাপারে সচেতন ছিল, যাতে দুর্গোৎসব ভালো হবে উদ্‌যাপিত হয়, মানুষ যাতে আনন্দের সঙ্গে উদ্‌যাপন করতে পারে। আমাদের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। যাতে দুষ্কৃতকারীরা কোনো রকম দুষ্কৃতির ঘটনা ঘটাতে না পারে। আশার কথা, এখন পর্যন্ত সারা দেশের পরিস্থিতি ভালো। আশা করি, আগামীকাল প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত কোনো অঘটন ঘটবে না।’

আরও পড়ুন

আজ শনিবার শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মানিকগঞ্জের সিংগাইরের সানাইলে শ্রীশ্রী সর্বজনীন কালীমন্দিরে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সমবেত ভক্ত ও পূজারিদের উদ্দেশে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি কমল কান্তি বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মনোয়ার হোসেন মোল্লা এবং পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদ বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন

উপদেষ্টা বলেন, এ সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে বিশ্বাস করে। সরকার বিশ্বাস করে যে ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয়। রাষ্ট্র সবার জন্য। রাষ্ট্রের কাছে সবাই নাগরিক। ফলে সব নাগরিক সমান সুবিধা ভোগ করবে। সরকার নাগরিকদের অধিকার রক্ষার চেষ্টা করবে। নাগরিকদের কাছেও সরকারের আকাঙ্ক্ষা থাকে। আমাদের মূল সংস্কৃতি হলো সহনশীলতার সংস্কৃতি। উৎসবমুখর সংস্কৃতি। যুগ যুগ ধরে আমাদের দেশে বিভিন্ন ধর্মের লোকজন পাশাপাশি বসবাস করছে। ভাইয়ের মতো বসবাস করছে। একে অন্যের উৎসবে যোগ দিয়েছে। উৎসবকে সবাই উপভোগ করছে। আমরা চাই সে ঐতিহ্য বহমান থাকুক এবং আমাদের এই সম্প্রীতি ও সামাজিক সংহতি যেন দুষ্কৃতকারীদের রুখে দিতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ সময় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সামাজিক সম্প্রীতি গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। এটি একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। কারণ, শান্তি–সম্প্রীতি না থাকলে দেশের উন্নতি হতে পারে না। বিজ্ঞপ্তি

আরও পড়ুন