আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নতুন সুখবর দিল কানাডা
ইমিগ্রেশন, রিফিউজি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ কানাডা (আইআরসিসি) আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সাপ্তাহিক কাজের জন্য নতুন নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে। এখন থেকে শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ৪ ঘণ্টা বেশি সময় কাজ করতে পারবেন। এ শরতে (অটাম) শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন এ নিয়ম চালু হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নতুন কাজের সুযোগ পেতে যাচ্ছেন।
আইআরসিসির অফিশিয়াল এক্স–এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে এ কথা জানানো হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বরে এ পোস্ট দেওয়া হয়। দেশটির অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী মার্ক মিলার সম্প্রতি এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
*২০ ঘণ্টা থেকে কাজের সীমা বাড়িয়ে হচ্ছে ২৪ ঘণ্টা
*নতুন নিয়মের লক্ষ্য কাজ এবং অধ্যয়নের ভারসাম্য রাখা
*একাডেমিক বিরতিতে কাজের নিয়ম আগের মতোই
কানাডা এ বছরের শুরুতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদনের খরচ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছে। শিক্ষার্থীদের ব্যাংকে দেখাতে হতো ১০ হাজার ডলার। নতুন নিয়মে তা বেড়ে হয় ২০ হাজার ৬৩৫ ডলার। শিক্ষার্থী সংখ্যাও কমানোর কথা জানানো হয়েছিল। এ জন্য দেশটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও কমতে থাকে। তবে এবারের নতুন ঘোষণা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর বলা যেতে পারে।
কানাডায় পূর্ণ সময়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা তাঁদের ক্লাস চলাকালে প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করার অনুমতি পান। এখন তাঁরা ২৪ ঘণ্টা এ সুযোগ পাবেন। আর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, কারণ, শিক্ষার্থীরা যেন আর্থিক ক্ষেত্রে সচ্ছলতা আনতে পারেন এবং তাঁদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগ দিতে পারেন। একাডেমিক বিরতির সময়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সীমাহীন ঘণ্টা কাজ করতে পারেন।
এ পরিবর্তনের কারণ কী
সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে একাডেমিক পড়াশোনায় নেতিবাচকভাবে প্রভাব পড়তে পারে বলে এক গবেষণায় বলা হয়েছে। এরপর কানাডা এই নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ২৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন, তাঁদের কোর্স ওয়ার্কে সমস্যা হতে পারে বা শিক্ষার্থীরা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এমনকি তাঁরা তাঁদের শিক্ষা প্রোগ্রামগুলো থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারেন। কাজের সময় ঠিক রেখে কানাডা সরকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কাজ বজায় রাখার লক্ষ্য কাজ করছে।
কাজ এবং শিক্ষার ভারসাম্যের গুরুত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত করে মন্ত্রী মিলার বলেছেন, ‘প্রথম ও অগ্রাধিকার হলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা কানাডায় পড়াশোনা করতে আসুক। নতুন এ পরিবর্তন শিক্ষার্থীদের তাঁদের ক্লাসে ফোকাস করতে সুবিধা দেবে।’