প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে ২০৮ জনকে কেন নিয়োগ নয়, জানতে রুল জারি হাইকোর্টের

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক পদে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ অনুযায়ী শূন্য পদের ভিত্তিতে রিটকারীদের কেন নিয়োগ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালকসহ তিনজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ গতকাল রোববার প্রাথমিক শুনানি শেষে এ রুল জারি করেন। একই সঙ্গে ২০৮টি পদ রিটকারীদের জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট উপজেলায় সংরক্ষিত রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

আরও পড়ুন

এ টি এম আতিকুর রহমান, মোহাম্মদ রেজোয়ানুল হক, মোহাম্মদ আরিফ, সেলিনা খাতুন, মৌরি বেগম, আবুল বাশারসহ ১৮টি জেলার ২০৮ প্রার্থী এ রিট করেন। রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ২১টি জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি শিক্ষকদের শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে ২০৮ জন আবেদন করে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভাইভায় অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের প্রকাশিত সার্কুলার শর্ত নম্বর ১০ এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ বিডি ৩–এর ৩, অর্থাৎ শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ প্রদান না করে কমসংখ্যক প্রার্থী নিয়োগ প্রদানের জন্য সুপারিশ করে। এর ফলে আজকের রিটকারীরা কোটা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত হন। তাই তাঁরা হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আরও পড়ুন

আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আরও বলেন, আগেও একই বিষয়ে আপিল বিভাগের রায় রয়েছে। আশা করি রুল জারি হয়ে এলে মামলাটির দ্রুত শুনানি হবে। আর রিট আবেদনকারীরা ন্যায়বিচার পাবেন।