কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯তম
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস (কিউএস) প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। ২০২৪ সালেরও করেছে গত বুধবার। ওই দিন প্রকাশ করা হয়েছে মহাদেশ ও বিষয়ভিত্তিক তালিকাও।
এশিয়ার সেরা ৮৫৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবছরের নভেম্বরের শুরুতে তালিকা প্রকাশ করে কিউএস। তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ১৯তম স্থানে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা, উদ্ভাবন, চাকরিতে স্নাতকদের কর্মক্ষমতা, প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাফল্য, আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক, গবেষণা প্রবন্ধের সাইটেশন, পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সংখ্যা, আন্তর্জাতিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনুপাত, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বিনিময়ের হারসহ কয়েকটি সূচকের ওপর ভিত্তি করেই তালিকা প্রকাশ করে কিউএস।
কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৪-এর করা তালিকায় শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় নেই বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবার এশিয়ার তালিকায় দেশের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আছে প্রথমে। ২০২৪ সালের র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১৪০তম স্থানে। তবে একই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ায় ১৯তম স্থানে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার তালিকায় দেশের আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ২৯তম, বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ৩২তম ও বেসরকারি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ৬৩তম স্থানে আছে। আর এ তালিকায় সবার ওপরে আছে দ্য ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, বোম্বে (আইআইটিবি)।
এদিকে কিউএসের করা এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় শীর্ষ ২০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আছে বুয়েট ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে বুয়েট ১৮৭তম ও নর্থ সাউথ ১৯১তম স্থানে আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে যে কয়টি সংস্থা র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে, তাদের মধ্যে অন্যতম একটি হলো কিউএস ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং। এবারও এশিয়ায় সবার সেরা চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটি। যথারীতি তালিকায় এবার দ্বিতীয় হংকং বিশ্ববিদ্যালয়। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আছে তৃতীয় স্থানে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা, উদ্ভাবন, চাকরিতে স্নাতকদের কর্মক্ষমতা, প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাফল্য, আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক, গবেষণা প্রবন্ধের সাইটেশন, পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সংখ্যা, আন্তর্জাতিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনুপাত, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বিনিময়ের হারসহ কয়েকটি সূচকের ওপর ভিত্তি করেই তালিকা প্রকাশ করে কিউএস।
এদিকে এর আগে যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের যে র্যাঙ্কিং করেছিল, সেই তালিকায় শীর্ষ ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ছিল না। এই ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ভারতের ২৪টি ও পাকিস্তানের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিয়েছিল।
এ তালিকায় ৮০০-এর পর বাংলাদেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিয়েছিল। র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের ৮০১ থেকে ১ হাজারের মধ্যে ছিল বাংলাদেশের ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। এর আগে ২০২২ সালে টাইমস হায়ার এডুকেশনের র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৬০১ থেকে ৮০০-এর মধ্যে।
এ ছাড়া গত সেপ্টেম্বরে স্পেনের মাদ্রিদভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ওয়েবমেট্রিকসের করা র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ এক হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। ৩১ হাজার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে করা এ র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল যৌথভাবে ১ হাজার ৫১তম। বুয়েটের অবস্থান ছিল ১ হাজার ৪২১তম।
এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা এখানে দেখুন।