যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিষ্কৃত ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে ইরান
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে মধ্যপ্রাচ্য ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সংঘাত চলছে। এরপর ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ করে আসছেন। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারও করেছে। ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করায় বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে ইরানের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের শিরাজ ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের সংকটের কারণে চলমান শিক্ষার্থীবিক্ষোভের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে তারা।
শিরাজ দক্ষিণ ইরানের একটি প্রধান শহর এবং ফারস প্রদেশের রাজধানী। মার্কিন ও ইউরোপের ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে শিরাজের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও অধ্যাপকদের সমাবেশে শিরাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরেনো বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ করায় যে ছাত্র এবং অধ্যাপককে বহিষ্কার করা হয়েছে বা বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয়েছে, তাঁরা শিরাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন। আমি মনে করি শিরাজ এবং ফারস প্রদেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এটি করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’
এদিকে ইরানের তেহরান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, শিরাজ বিশ্ববিদ্যালয়, শহীদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজি বিশ্ববিদ্যালয়, আল্লামে তাবাতাবাই বিশ্ববিদ্যালয়, ফেরদৌসি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইরান ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিও এ ঘোষণা দিয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করবে, বাসস্থান ও শিক্ষার খরচ সম্পূর্ণভাবে বহন করবে।
ইরানি বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েলের সহিংসতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের প্রশংসা করে বলেছে, তাদের প্রতিবাদ আন্দোলন ফিলিস্তিনের চলমান সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বড় প্রভাব ফেলবে। তারা আশা প্রকাশ করেছে, এসব ছাত্র আন্দোলন মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত ফিলিস্তিনিদের জন্য তাদের আওয়াজ তুলতে বিশ্ববাসীকে উৎসাহিত করবে।