পড়া শেষে নিউজিল্যান্ডে চাকরি করতে চান

ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা শেষে অনেকেই বিদেশে চাকরি করতে চান। তাঁদের জন্য নিউজিল্যান্ড অন্যতম একটি জায়গা। দেশটির অনেক কোম্পানি বিদেশি কর্মী নেবে। নিউজিল্যান্ড সরকারের ভিসা স্পনসরশিপ জব–২০২৩ নামে তিন (৩) বছর দেশটিতে চাকরি করতে পারেন যে কেউ। এই প্রোগ্রামের কেতাবি নাম ‘অ্যাক্রেডিটেড এমপ্লয়ার ওয়ার্ক ভিসা (এইডব্লিউভি)’। এটি অস্থায়ী চাকরি ভিসা। শিক্ষা শেষে এইডব্লিউভিতে আবেদনের জন্য বিদেশি কর্মীদের জন্য কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। বিশ্বের যে কেউ আবেদন করতে পারবেন।

নিউজিল্যান্ডে কাজের সুবিধা কী?


নিউজিল্যান্ডের সরকারের স্পনসর করা চাকরিতে নানা সুবিধা আছে।

* তিন বছর পর্যন্ত কাজ করা যাবে এইডব্লিউভিতে চাকরি পেলে

* চাকরি পেলে কর্মীরা পরিবারের সদস্যদেরও সেখানে নিয়ে যেতে পারবেন

* পড়াশোনার সুযোগও মিলবে চাকরি পেলে

* নিউজিল্যান্ডে দুই বছর চাকরি করার পর স্থায়ীভাবে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার সুযোগ

কোম্পানিগুলো যে যে সুবিধা দেয়

* বড় সুবিধা হলো চাকরিদাতা কিছু প্রতিষ্ঠান ভিসা ডকুমেন্টেশনের সব কাজে সহায়তা করে। সব কোম্পানি এসব সুবিধা দেয় না। কোম্পানিভেদে এ সুবিধা থাকতে পারে আবার না–ও থাকতে পারে।

* পারিশ্রমিক প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ২৯ দশমিক ৬৬ ডলার

* থাকা ও খাওয়ার সুবিধা

* পরিবহন–সুবিধা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।

ছবি: সংগৃহীত

কারা আবেদন করতে পারবেন

নিউজিল্যান্ডের ভিসা স্পনসরশিপ চাকরিতে কিছু যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে সব দেশের নাগরিকেরা আবেদন করতে পারবেন।

যেভাবে আবেদন করবেন

নিউজিল্যান্ডের নিয়োগকারী বৈধ কোম্পানি ২৯৯টি। (২০২৩ সালের তালিকা)। বৈধ কোম্পানির তালিকা দেখুন https://www.acc.co.nz/for-business/understanding-your-cover-options/aes/ লিংকে।

কাজের সময়সীমা

ওয়ার্ক ভিসায় তিন (৩) বছর পর্যন্ত আপনি নিউজিল্যান্ডে কাজ করতে পারবেন। আপনার কাজ থাকলে বা আপনি কাজ পেলে মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।

কাজের জন্য যেসব যোগ্যতা অবশ্যই থাকতে হবে

* চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের চাকরির নিয়োগপত্র

* অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে

* নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও চরিত্রগত সনদের কাগজপত্র থাকতে হবে