হলদিয়া ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থী ইরফানকে ১ কোটি ২০ লাখ রুপি বেতনে চাকরি দিল গুগল
নাম ইরফান ভাটি। বাড়ি ভারতের ঝাড়খন্ডের বোকারো জেলায়। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় বানিয়েছিলেন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। পড়াশোনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হলদিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে। নামীদামি কোম্পানিতে কাজ করেছেন। এখন গুগল ছুটছে তাঁর পেছনে।
টাইমস নাউ ও ডিএনএ ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ভারতের আইআইটি, আইআইএম ও এনআইটিতে পড়ুয়াদের নিজেদের কোম্পানিতে নিতে চায় বড় বড় কোম্পানিগুলো। কিন্তু ভারতের এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না পড়লেও বি টেক করা এই সাবেক শিক্ষার্থীকে কাড়ি কাড়ি অর্থ দিয়ে চাকরি দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল। তাঁর নাম ইরফান ভাটি।
ইরফান ভাটি পড়েছেন হলদিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে। বি টেক কম্পিউটার সায়েন্সে।
পড়াশোনা শেষে কাজ করেছেন বাইজুস ও ফ্লিপকার্টে। এখন তাঁকে নিতে ১ কোটি ২০ লাখ রুপি খরচ করছে গুগল। তাঁকে লন্ডন অফিসের জন্য নিয়েছে গুগল। সেখানে গবেষণা দলে কাজ করবেন তিনি।
ইরফান ভাটি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে গুগল ইন্ডিয়াতে কর্মরত ছিলেন। ২০১৪ সালে ইরফান ভাটি বোকারোর গোমিয়ার পিটস মডার্ন পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। এরপর ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বি টেক করেছেন।
এরপরই কর্মজীবন শুরু।
ভারতের নিউজ এইটটিনকে ইরফান ভাটি বলেছেন, ছোটবেলা থেকেই কম্পিউটারের প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় নিজেই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছিলেন। এরপরই ইরফান সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম শুরু করেন। যাঁরা সফটওয়্যার প্রকৌশলী হতে চান, সেই তরুণদের ইরফান বলছেন, এখনকার যুগে সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লকচেইন এবং ওয়েবসাইট তৈরি ও এর উন্নয়নের ক্ষেত্রে কাজ করে ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন আজকের তরুণেরা।
ইরফানের ভাটির এক সহকর্মী লিঙ্কডইনে লিখেছেন, ‘আমি বাইজুসে এক বছর ইরফানের সঙ্গে কাজ করেছি। অনেক দক্ষ সহকর্মী। তবে শুধু অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনের জন্য নয়, জেনেরিক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তিনি সেরা। এই এক বছরের কাজের সময় নানা জটিল সমস্যার সমাধান তিনি করেছেন।’
ইরফান ভাটি ঝাড়খন্ডের সাধারণ একটি পরিবারের সন্তান। বাবা আবদুল কাদির ভাঙারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তবে ইরফান তাঁর সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন বাবা আবদুল কাদির ও প্রয়াত মা রুখসানা খাতুনকে। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপে মা–বাবা উৎসাহ দিয়েছেন। ইরফানের বাবা আবদুল কাদিরও ছেলের কৃতিত্বের জন্য গর্বিত। তিনি আশাবাদী, ইরফান কঠোর পরিশ্রম করে যাবে এবং জীবনে আরও সফলতা অর্জন করবে।
ইরফান ভাটি ২০১৯ সালে কর্মজীবন শুরু করেন বাইজুসে। ১৪ মাস কাজ করেই চলে যান ফ্লিপকার্টে।
এক বছর পাঁচ মাস ফ্লিপকার্টে কাজ করেন। এরপরই ২০২১ সালে গুগল তাঁকে ভারত অফিসের জন্য বেছে নেয়। সেখান থেকে ১ কোটি ২০ লাখ রুপি বেতনে গেলেন গুগলের লন্ডন অফিসে।