আন্তর্জাতিক প্রকৌশলে স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ

ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার চ্যাপ্টারের গত অনুষ্ঠানে ড এলিজাবেথ টেইলরসহ অন্যান্যরাফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক প্রকৌশল জোট সম্মেলনে ওয়াশিংটন অ্যাকর্ডের স্বাক্ষরকারী দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রকৌশল জোট সম্মেলনে এই স্বীকৃতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ওয়াশিংটন অ্যাকর্ডের ২৩টি স্বাক্ষরকারী দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে ভোট প্রদান করে। ওয়াশিংটন অ্যাকর্ডের মাধ্যমে এর স্বাক্ষরকারী দেশের স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাশ প্রকৌশলীরা অন্য দেশের সমান শিক্ষাগত যোগ্যতা লাভ করে থাকে। স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্বীকৃতি পাওয়ার পর বাংলাদেশি প্রকৌশলীরা একই শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়ে স্বীকৃত দেশগুলোতে কর্ম যোগ্যতা অর্জন পেয়ে থাকবে।

দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অর্জিত এই সাফল্যের পেছনে অন্যতম অবদান রয়েছে ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া চ্যাপ্টার সংগঠনের। সিডনির প্রবাসী বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের উদ্যোগে বিভিন্ন সময় ওয়াশিংটন অ্যাকর্ডের সভাপতি ড. এলিজাবেথ টেইলরসহ বিভিন্ন প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, বাংলাদেশ ভ্রমণ ও সভায় আমন্ত্রণসহ বহু দ্বিপাক্ষিক সংযুক্তা তৈরি করা হয়। ২০১৬ দিকে ওয়াশিংটন অ্যাকর্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের যুক্তার স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত প্রকৌশলী অধ্যাপক প্রয়াত জামিলুর রেজা চৌধুরী। তৎকালীন সময় থেকেই পরামর্শ প্রদান ও বিভিন্ন প্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে গেছেন তিনি।

ওয়াশিংটন অ্যাকর্ডে বাংলাদেশের স্বীকৃতি নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার চ্যাপ্টারের সভাপতি প্রকৌশলী আব্দুল মতিন বলেন, ‘আজকের এই শুভদিনে জামিলুর রেজা চৌধুরী স্যারকে খুব মনে পড়ছে। তিনি বিশ্বাস করতেন আমাদের বুয়েটসহ বাংলাদেশের প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষামান বিশ্বমানের। তবে এতদিন বাংলাদেশ থেকে ব্যাচেলর শেষ করে বিদেশে গিয়ে এই শিক্ষার মান প্রমাণ করা খুব সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুলও ছিল। তবে এখন আমরা আশা করছি অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডা, জাপান কিংবা কোরিয়ার মতো উন্নত দেশেগুলোতে সহজেই উচ্চশিক্ষা ও চাকরি পেতে পারবে আমাদের বাংলাদেশি মেধাবী প্রকৌশলীরা। একই সিডনিতে আমার সঙ্গে প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের নিরলস পরিশ্রমও প্রশংসার দাবিদার।’