পাখি দিবসে বাংলাদেশের পাখি সম্পর্কে জানি

জাতীয় পাখি দোয়েল। খেজুরবাগান হর্টিকালচার সেন্টার, খাগড়াছড়ি শহর, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০
ছবি: নীরব চৌধুরী

বাংলাদেশের অপরূপ প্রকৃতির এক অপূর্ব উপহার পাখি। এ দেশের মানুষ পাখির ডাকে ঘুমিয়ে পড়ে আবার পাখির ডাকে জাগে।

পরিচিত পাখি

দোয়েল, কোকিল, ময়না, টিয়া, কাক, পায়রা, বিল, মাছরাঙা, কাকাতুয়া, বাবুই, কাঠঠোকরা, চড়ুই, টুনটুনি, বুলবুলি, বউ কথা কও, শালিক, ঘুঘু, বক—এসব আমাদের পরিচিত পাখি।

বিভিন্ন পাখির বর্ণনা

পাখি অনেক রকমের আছে। এদের মধ্যে গানের পাখি, শিকারি পাখি, রাতের পাখি, ঝিল–পুকুরের পাখি, শীতের পাখি ও পোষা পাখি উল্লেখযোগ্য।

গানের পাখি:

গানের পাখির মধ্যে অন্যতম দোয়েল। দোয়েলের মতো গানের গলা খুব কম পাখিরই আছে। দোয়েল আমাদের জাতীয় পাখি। শীতের শেষে বসন্ত ঋতুর আগমনী বার্তা নিয়ে আসে কোকিল। তাই কোকিলকে বলা হয় বসন্তের দূত। গানের পাখির মধ্যে সবচেয়ে ছোট টুনটুনি। দেখতে ছোট হলেও টুনটুনির গানের গলা বেশ মিষ্টি আর জোরালো।

শ্যামা, বুলবুলি, বউ কথা কও—এরাও খুব সুন্দর গানের পাখি।

শিকারি পাখি

মাছরাঙা, বাজপাখি, শকুন, চিল, বক—এসব শিকারি পাখি। মাছরাঙা পুকুরপাড়ে মাটির গর্তে বাস করে আর সুযোগ বুঝে পানিতে টুপ করে ডুব দিয়ে ছোট মাছ ধরে খায়। বাজ আর চিল আকাশের অনেক উঁচুতে উড়লেও শিকারের খেঁাজে দৃষ্টি থাকে নিচে।

ঝিল-পুকুরের পাখি

পানকৌড়ি, হাঁস, সারস, কোঁড়া—এসব ঝিল-পুকুরের পাখি। এরা শামুক, ছোট মাছ ও জলের পোকামাকড় খেয়ে থাকে।

পোষা পাখি

ময়না, টিয়া, কাকাতুয়া, শ্যামা, শালিক, ঘুঘু পায়রা—এসব পাখি ঘরে পোষা যায়। পোষা পাখির মধ্যে ময়না মজার পাখি। এরা মানুষের অনুকরণে নানা রকম শব্দ ও গান করতে পারে। টিয়ে পাখির পালক হলদে শ্যামল, ঠোঁট লাল রঙের। শালিক, ঘুঘু ও কবুতর খুবই নিরীহ পাখি।

গৃহপালিত পাখি

মুরগি, হাঁস গৃহপালিত পাখি। এসব পাখি বাংলাদেশের প্রায় ঘরে দেখতে পাওয়া যায়। হাঁস ও মুরগির ডিম আমাদের খুবই প্রিয় খাবার।

উপসংহার

পাখি প্রকৃতির এক মূল্যবান সম্পদ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও পাখির ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রয়োজনে পাখিসম্পদ সংরক্ষণ করা উচিত।