এইচএসসিতে ৮ কলেজে শূন্য পাস, পাঠদান কেন বাতিল হবে না মর্মে নোটিশ
এইচএসসি পরীক্ষায় সারা দেশের ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেননি। এ তালিকায় রয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীন থাকা আটটি কলেজ। শূন্য পাস করা আটটি কলেজের পাঠদানের অনুমতি কেন স্থগিত করা হবে না, এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গত ৯ মার্চ শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শোকজ করে এক চিঠি পাঠিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো রাজধানীর সবুজবাগ এলাকার সেন্ট্রাল আইডিয়াল কলেজ, রাজধানীর শাহজাহানপুরের ঢাকা অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজ, মানিকগঞ্জ সদরের আফরোজা রমজান গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার আলোয়া হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, রাজবাড়ী কালুখালী উপজেলার নূর নেসা কলেজ, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতৈল আইডিয়াল কলেজ, গোপালগঞ্জ সদরের ডা. দেলওয়ার হোসেন মেমোরিয়াল কলেজ এবং কিশোরগঞ্জ সদরের লে. কর্নেল (অব.) করিম ভূঁইয়া কলেজ। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে অনেকে পরীক্ষায় অংশ নিলেও কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেননি।
নোটিশে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কোনো শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে না পারায় প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি কেন বাতিল করা হবে না, সে বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। শূন্য পাস করা আটটি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও সভাপতিকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় একজনও পাস করেননি, এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা গত বছর ছিল পাঁচটি। কিন্তু এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০ গুণ বেড়ে হয়েছে ৫০টি। এবার ৯ হাজার ১৩৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮৭ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৮৭ জন। পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫।
শূন্য পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫ থেকে বেড়ে ৫০ হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এইচএসসি ফল প্রকাশের দিনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, গত বছর মাত্র তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছিল সংক্ষিপ্তভাবে। তখন বেশির ভাগই ভালো করেছিলেন। সে জন্য পাসও ছিল প্রায় ৯৫ শতাংশ। এবার ১২টি পত্রে পরীক্ষা হয়েছে, তাতে সবাই তত ভালো করতে পারেননি। সে জন্য শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে।