দাখিলে শূন্য পাস ৯ মাদ্রাসার এমপিও বন্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ
এবারের দাখিল পরীক্ষায় একজনও পাস করেনি, এমন ৯টি মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও বন্ধ বা স্থগিত করার লক্ষ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। এমপিওভুক্তির মানে হলো, শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে মূল বেতনসহ কিছু ভাতা পান।
১৪ আগস্ট তারিখে পৃথকভাবে মাদ্রাসাগুলোকে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। প্রতিটি নোটিশে ওই সব মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও শূন্য পাস করার তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, এটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালার পরিপন্থী। এমন কর্মকাণ্ডে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাই দাখিল পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়ের কারণে প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও সাময়িক স্থগিত বা স্থায়ী বন্ধের ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ৩১ আগস্টের মধ্যে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৮ জুলাই এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এবার সারা দেশের ২৯ হাজার ৭১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ২০ লাখ ৪১ হাজার ৪৫০ জন। পাস করেছে ১৬ লাখ ৪১ হাজার ১৪০ জন।
এবার মোট ৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করতে পারেনি। এর মধ্যে ৪১টিই মাদ্রাসা। তার মধ্যে ৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত। এখন এই ৯ মাদ্রাসার এমপিওভুক্তি বন্ধ বা স্থগিত করার উদ্যোগ নিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। তারই আলোকে ওই মাদ্রাসাগুলোকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যেগুলো এমপিওভুক্ত নয়, সেগুলোর কাছ থেকেও কারণ জানতে চাওয়ার কথা রয়েছে। গত বছরও ৪১টি মাদ্রাসা থেকে একজন পরীক্ষার্থীও পাস করেনি।
যেসব মাদ্রাসার এমপিও বন্ধ বা স্থগিত হতে পারে
এমপিওভুক্ত যে ৯টি মাদ্রাসা থেকে একজনও পাস করেনি, সেগুলোর মধ্যে টাঙ্গাইলের সখীপুরের ইছাদীঘি দাখিল মাদ্রাসা থেকে এ বছরের দাখিল পরীক্ষায় ২১ জন অংশ নিয়েছিল। নওগাঁর পত্নীতলার চক ফরিদ মেহেরুল্লাহ দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৬ জন, একই উপজেলার বড় বিদিরপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ২০ ও হলাকান্দর সাবেদ আলী দাখিল মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ১৯ জন।
এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার রাতোর আর এফ এস দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৫ জন, যশোরের মনিরামপুরের হায়াতপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৫ এবং একই উপজেলার শমসেরবাগ দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৭ জন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমানউল্লাপুর দারুছ্ছালাম মহিলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৫ এবং রাজশাহীর তানোরের ময়েনপুর আলীতলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১২ জন পরীক্ষা দিলেও কেউ পাস করতে পারেনি।