প্রবাসে বসে এইচএসসি পরীক্ষা, পাস ২৬৯ জন
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবারও প্রবাস থেকে (বিদেশ কেন্দ্র) অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। এ বছর আটটি বিদেশ কেন্দ্রে বসে ২৮২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন ২৬৯ জন। সেই হিসেবে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে অংশ নেওয়া সব (শতভাগ) শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়। আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সব শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের যে সারসংক্ষেপ তৈরি করেছে, সেখান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত বছর ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সেই হিসাবে পাসের হারও কিছুটা কমেছে। তবে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা এবার বেড়েছে।
এদিকে এবার দেশের ৬৫টি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কেউ পাস করতে পারেননি। গত বছর শূন্য পাস করা কলেজের সংখ্যা ছিল ৪২টি। সেই হিসাবে এবার শূন্য পাস কলেজের সংখ্যা বেড়েছে। এ সংখ্যা ২৩টি।
এবারের এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন। সাতটি পরীক্ষার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এতে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর প্রথমে ১১ আগস্ট ও পরে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে আগস্টে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করলে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ।
পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এবারের এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। আর যেসব বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, সেগুলোর ফলাফল প্রকাশ করা হবে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে। বিষয় ম্যাপিংয়ের জন্য একটি নীতিমালা আছে। এ প্রক্রিয়ায় একজন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে একটি বিষয়ে যত নম্বর পেয়েছিলেন, এইচএসসিতে সে বিষয় থাকলে তাতে এসএসসিতে প্রাপ্ত পুরো নম্বর বিবেচনায় নেওয়া হবে। আর এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় বিষয়ে ভিন্নতা থাকলে ম্যাপিংয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নম্বর বিবেচনা করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।