এসএসসিতে প্রথম দিনে অনুপস্থিত ১৭ হাজার ১৯২ জন
দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি পরীক্ষায় প্রথম দিনে আজ রোববার অনুপস্থিত ছিল ১৭ হাজার ১৯২ পরীক্ষার্থী। আর বহিষ্কৃত হয়েছে চারজন।
এসএসসির প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া একই দিনে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এই দুই বোর্ডের তথ্য পাওয়া যায়নি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণকক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৫ লাখ ৮ হাজার ৮১৯ জন। এর মধ্যে ১৪ লাখ ৯১ হাজার ৬২৭ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীন সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ২২২ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এ ছাড়া চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ১ হাজার ৬০৭ জন, রাজশাহীতে ১ হাজার ৭২০, বরিশালে ১ হাজার ২৬, সিলেটে ৯৪০, দিনাজপুরে ২ হাজার ২৪৭, কুমিল্লায় ২ হাজার ৬১৮, ময়মনসিংহে ৯৭৮ এবং যশোর শিক্ষা বোর্ডে ১ হাজার ৮৩৪ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
এদিকে পরীক্ষা দেখতে আজ সকালে রাজধানীর বাড্ডা হাইস্কুল কেন্দ্র পরিদর্শনে যান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ নেই। তবে গুজব রটাতে পারে। কিন্তু সেই গুজব রটিয়ে ধরা পড়লে কঠোর শাস্তি হবে।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র বিতরণে ভুলের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করলেন। তিনি বলেন, ‘গতবার যে কয়েকটি জায়গায় এ রকম ভুল হয়েছে, তাদের সেই ভুলের কড়া মাশুল দিতে হয়েছে। অতএব আশা করি, এই ভুল যেন না হয়। এ ব্যাপারে পরীক্ষার কেন্দ্রে যাঁরা দায়িত্বে থাকেন, তাঁরা খুবই সতর্ক থাকবেন।’
শিক্ষামন্ত্রীর কেন্দ্র পরিদর্শনের সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
সময়সূচি অনুযায়ী এসএসসি এবং এসএসসি ও দাখিলের (ভোকেশনাল) লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ২৩ মে এবং দাখিলের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ২৫ মে।