ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের সিলেবাস প্রকাশ, মূল্যায়নের প্রয়োজনে ছুটিতে অনলাইন ক্লাস
নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন শুরু হবে আগামী ৩ জুলাই থেকে। এ জন্য এর মধ্যে সারা দেশে বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস পাঠানো হয়েছে। গতকাল রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ঈদুল আজহার আগে শ্রেণি কার্যক্রম চলবে ১২ জুন পর্যন্ত। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) আশা, এ সময়ের মধ্যে শিখন অভিজ্ঞতাগুলো শেষ হবে। তবে ঈদের বন্ধের আগে যদি ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত কোনো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন করা সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ছুটির সময়ে অনলাইন ক্লাস করে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বসে কাজ পর্যবেক্ষণ করে ফিডব্যাক দিতে শিক্ষকদের বলা হয়েছে।
মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনসিটিবি থেকে পাঠানো চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সিলেবাস ও এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। বিষয়টি জরুরি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এনসিটিবির চিঠিতে বলা হয়েছে, ৩ জুলাই থেকে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। দৈবচয়নের ভিত্তিতে সারা দেশের নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেণি কার্যক্রম সম্পন্ন করার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যে পর্যন্ত শিখন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে, সেই পর্যন্ত অভিজ্ঞতাগুলোকে বিবেচনা করে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
চিঠিতে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির সব বিষয়ের নির্ধারিত অংশ উল্লেখ করা হয়েছে।
শিক্ষকদের বলা হয়েছে, ১২ জুন পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম চলার অভিজ্ঞতাগুলো শেষ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যেহেতু ১২ জুনের পরে ছুটির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে, বন্ধের আগে যদি ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত কোনো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন করা সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে বিকল্প উপায় অবলম্বন করুন। বিকল্প উপায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সময়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্নের জন্য পাঁচটি দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনাগুলো—
বন্ধের আগেই শিক্ষার্থীকে বন্ধে করণীয় অভিজ্ঞতার ধাপগুলো কী কী, তা সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দিন;
শিক্ষার্থী বিকল্প কোন কোন কাজ পর্যবেক্ষণ করেন, তার পারদর্শিতা যাচাই করবেন, তা জানিয়ে দিন;
কোথাও দলগত কাজ, পর্যবেক্ষণ, তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি কাজ থাকলে তা বিকল্প উপায়ে (উদাহরণস্বরূপ, দলগত কাজের বদলে একক কাজ, পরিবারের সদস্যদের থেকে তথ্য সংগ্রহ, পর্যবেক্ষণের কাজটি বাড়ির আশপাশের পরিবেশ থেকে বা ভিডিও দেখে বা ডকুমেন্ট পড়ে সম্পন্ন করা যেতে পারে) কাজটি সম্পন্ন করার কৌশল বলে দিন;
কাজ শেষে সক্রিয় পরীক্ষণের বদলে শিক্ষার্থী কী অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবেন, তার ধারণা এবং জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করে দিন;
প্রয়োজনে অনলাইন ক্লাস করে, অভিভাবকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গ্রুপে, মোবাইল গ্রুপে নির্দেশনা প্রদান করে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বসে কাজ পর্যবেক্ষণ করুন এবং ফিডব্যাক প্রধান করুন।