ঢাবিতে সশরীর ক্লাস বন্ধ, চলবে অনলাইনে
করোনা সংক্রমণের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে সরকারি নির্দেশনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীর শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা চলমান থাকবে।
আজ শুক্রবার দুপুরে প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি হবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনের আলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীর শিক্ষা কার্যক্রম আজ শুক্রবার থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক সহযোগিতায় অব্যাহত থাকবে।
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসগুলো সীমিত পরিসরে সকাল নয়টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে। জরুরি পরিষেবা (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ইন্টারনেট, স্বাস্থ্যসেবা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি) যথারীতি অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ আবাসস্থলে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে সভা, সমাবেশ ও জনসমাগম না করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলেছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা নেবে।
নির্দেশনার পর আজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় এসব পরীক্ষার সময়সূচি পরে জানানো হবে। এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও সশরীর শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার ব্যাখ্যা হলো, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করতে হবে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের আইনে চলে, তাই এ বিষয়ে তাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে অনলাইন ক্লাসে ফিরেছে।
করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত ১২ সেপ্টেম্বর আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। তবে তখন থেকেই সীমিত পরিসরে ক্লাস চলে আসছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মুখে পড়ল।