শিক্ষার্থীদের আবাসনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও আস-সুন্নাহর চুক্তি, আসন পাবেন ৭০০ শিক্ষার্থী

ছবি: বিজ্ঞপ্তি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চুক্তি সই হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমদ। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

সমঝোতা অনুযায়ী, কেরানীগঞ্জের বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রজেক্ট এলাকায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রাথমিকভাবে ৭০০ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা করবে। পর্যায়ক্রমে এই সংখ্যা ৫ হাজার শিক্ষার্থীতে উন্নীত করা হবে। ছেলেশিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মেয়েশিক্ষার্থীদের জন্যও আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। সমঝোতা স্মারকের আওতায় উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি পরামর্শক বোর্ড গঠন করা হবে। এই বোর্ড প্রকল্প পরিচালনা এবং সমস্যার সমাধান করবে। আবাসনের এ কার্যক্রম ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হবে।

আরও পড়ুন

চুক্তিপত্রে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের ব্যবস্থা করবে। যেখানে থাকবে ১০০ কম্পিউটারবিশিষ্ট ল্যাব। এ ল্যাবে শিক্ষার্থীরা তাদের সফট স্কিল উন্নত করবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের আবাসিক ভবন থেকে একাডেমিক ভবনে পরিবহনের ব্যবস্থা করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তাজাম্মুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আহমাদুল্লাহ, প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, ছাত্র হল-১ এর প্রভোস্ট মুহম্মদ আসাদুজ্জামান সাদী, অধ্যাপক মো. রইছ উদ দিন, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আরিফুর রহমান, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক কে এ এম রিফাত হাসান, আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক মো. আবু লায়েক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মেজবাহ-উল-আজম সওদাগর, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক মো. ওমর ফারুক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ নূরুল্লাহ, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিন আহমদ এবং ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ বিলাল হোসাইনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতারা।