চুয়েটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদ্যাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। আজ শনিবার সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়। পরে সকাল সাড়ে ৮টায় চুয়েট পরিবারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এরপর একে একে বিভিন্ন দাপ্তরিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও ছাত্রসংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। ‘জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য মোহাম্মদ রফিকুল আলম। চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন এবং রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পুরকৌশল অনুষদের ডিন সুদীপ কুমার পাল, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন এ এইচ রাশেদুল হোসেন, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান। সভা সঞ্চালনা করেন ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক প্রিয়ন্তি পাল টুম্পা এবং সেকশন অফিসার (সিন্ডিকেট শাখা) মীর মো. রাতুল হাসান।
মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘ডিসেম্বর মাস আমাদের অহংকারের মাস। আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠার মাস। পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে হারিয়ে আমরা এই মাসে বিজয় লাভ করেছিলাম। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ার অগ্রযাত্রায় আমরা আছি। নিজ নিজ অবস্থান থেকে উক্ত মিশনে আত্মনিয়োগ করতে হবে।’
সভা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে চুয়েটের দুই শহীদ শিক্ষার্থী শহীদ মোহাম্মদ তারেক হুদা ও শহীদ মোহাম্মদ শাহর কবর জিয়ারত এবং বাদ আসর মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এ ছাড়া বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় শিক্ষক বনাম শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা বনাম কর্মচারীদের প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, ছাত্রছাত্রীদের রচনা প্রতিযোগিতা, শিশু–কিশোরদের দৌড় ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান ও ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।