কৃতী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা জানাল পিয়ারসন ও ব্রিটিশ কাউন্সিল

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পিয়ারসন ও যুক্তরাজ্যের ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বাংলাদেশে ১১তম হাই অ্যাচিভারস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ইন্টারন্যাশনাল জিসিএসই ও ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের সম্মানিত করা হয়। ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ বছর মোট ৭৪২ শিক্ষার্থীকে তাঁদের অসাধারণ অর্জনের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৪০ জন বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্বসেরা ও এশিয়ার সেরা সনদ লাভ করেন। আর ৩৯ জন বাংলাদেশে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জনকারী হিসেবে সম্মানিত হন। পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল জিসিএসই শিক্ষার্থী ৪৬১ ও ইন্টারন্যাশনাল ‘এ’ লেভেলের ২০২ শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

আরও পড়ুন

পিয়ারসন ইউকের গ্লোবাল মার্কেটিং ডিরেক্টর মিস লিসা ইভান্স প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের অসাধারণ সাফল্যের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘এ পুরস্কারগুলো আমাদের শিক্ষার্থীদের অসীম সম্ভাবনাকে ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। আমরা তাদের উজ্জ্বল সাফল্যে গর্বিত।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ডিরেক্টর মি. ড্যান পাশা, পিয়ারসনের এমপ্লয়েবিলিটি ডিরেক্টর মিস প্রিমিলা পলরাজ, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. স্টিফেন ফোর্বস ও ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি এক্সামস ডিরেক্টর মি. ম্যাক্সিম রাইমান। অনুষ্ঠানে তাঁরা বৈশ্বিক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ভবিষ্যৎ নেতাদের ক্ষমতায়ন ও উদ্ভাবনের জন্য এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা করেন।

আরও পড়ুন

আয়োজনে পিয়ারসন বাংলাদেশের রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল মামুন লিটন ও জান্নাতুল ফেরদৌস সিগমা অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন। তাঁরা উল্লেখ করেন, পিয়ারসন এডেক্সেল যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়সহ শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। ব্রিটিশ কাউন্সিল ও পিয়ারসন উভয়ই আশা করে এ ধরনের ইভেন্ট শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্কুলগুলোকে ভবিষ্যতে আরও বড় সাফল্য অর্জনের জন্য অনুপ্রাণিত করবে।

আরও পড়ুন