প্লেপেন বই উৎসবে প্রথমা
১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘প্লেপেন’ ভাষা আন্দোলনের মাসকে উপলক্ষ করে ১৮, ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী বইমেলার আয়োজন করেছিল।
ইংরেজি মাধ্যম স্কুল হলেও ‘প্লেপেন’ দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদান করে এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় দিবসগুলো আনন্দমুখর পরিবেশে পালন করে। প্রথমা, জ্ঞান-বিচিত্রা, বুক ব্লিস, ওয়েসিস ও পপ-আপ প্রকাশনীর অংশগ্রহণে স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই তিন দিনের বইমেলা। প্রকাশনীগুলো স্টল সাজিয়েছিল উপন্যাস, সায়েন্স ফিকশন, কমিকস, কবিতা ও ছড়ার বইয়ের সমারোহে। এই মেলা উপলক্ষে স্কুলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সরব উপস্থিতি এক উৎসবের আমেজ সৃষ্টি করেছে। সবাই স্টল ঘুরে ঘুরে নানা ধরনের বই সংগ্রহ করছে যেন এটি অমর একুশে বইমেলারই একটি খণ্ডচিত্র। ডিজিটাল জাতি বিনির্মাণের যুগেও বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। বই, লেখক ও পাঠকের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে। শিক্ষার্থীদের মনন গঠনে সাহিত্যপাঠ অপরিহার্য। মেধার বিকাশ, মানবিকতা ও সহমর্মিতার শিক্ষা সাহিত্যজগতে অবগাহন করেই আহরণ করা যায়।
স্কুলের অধ্যক্ষ শরাবন তহুরা উপাধ্যক্ষ ও অন্যান্য শিক্ষককে নিয়ে মেলার স্টল পরিদর্শন করেন। অধ্যক্ষ এ মেলা আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা এবং সাধুবাদ জানান। সেই সঙ্গে প্রতিবছর মেলা আয়োজনের দাবি জানান তিনি।
মেলায় সবচেয়ে জমজমাট স্টলটি ছিল প্রথমা প্রকাশনের। বিচিত্র ধরনের বইয়ের সংগ্রহ ছিল এ স্টলে। বাংলা-ইংরেজি, দেশি-বিদেশি অরিজিনাল গল্প, উপন্যাস, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ক্ল্যাসিকস, কমিকস, সায়েন্স ফিকশন, শিশু–কিশোর, এমনকি এক বছরের শিশুদের উপযুক্ত বইও ছিল তাদের কাছে।
প্রথমার স্টল থেকে বই সংগ্রহ করে প্রশংসা করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। পাঠক-ক্রেতাদের হাতে মানসম্পন্ন বই তুলে দিতে পেরে প্রথমা বুক ক্যাফেও আনন্দিত। পাঠকের কাছে বই পৌঁছে দিতে সামনের দিনগুলোয় আরও কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন প্রথমার বিক্রয়কর্মী আহমেদ রাসেল। বিজ্ঞপ্তি