গোজিএইট স্কুলবাড়ি: বিনা মূল্যে অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম

‘গোজিএইট স্কুলবাড়ি’র অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে সুবিধাজনক সময়ে যেকোনো বিষয়ের ওপর অনুশীলন করতে পারে।
ছবি: গোজিএইট স্কুলবাড়ির ওয়েবসাইট

বাংলাদেশের অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়েছে নতুন নাম ‘গোজিএইট স্কুলবাড়ি’। চতুর্থ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি বিষয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের ওপর এখানে প্রায় ৬৫ হাজার মিনিটের ক্লাস আছে। এখানে বিষয়ভিত্তিক ক্লাসের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার ৫০০। প্রতিটি ভিডিও দেখা যাবে একদম বিনা মূল্যে। বাংলাদেশের জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) অনুসরণ করছে গোজিএইট স্কুলবাড়ি। পড়ালেখাকে শিক্ষার্থীদের কাছে সহজ ও আনন্দময় করে তুলতে থ্রিডি মডেলিং, টেক্সচারিং ও ইলাস্ট্রেশন ব্যবহার করেছে তারা। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইনে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি পাঠদানের ভিন্নতার জন্য এরই মধ্যে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে পরিচিত হয়ে উঠেছে।

‘গোজিএইট স্কুলবাড়ি’র অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে সুবিধাজনক সময়ে যেকোনো বিষয়ের ওপর অনুশীলন করতে পারে। এখানে অধ্যায়ভিত্তিক ভিডিওগুলো আনন্দের সঙ্গে কীভাবে সহজভাবে পড়া ও নিজস্ব চিন্তাধারাকে কীভাবে প্রকাশ করা যায়, সে বিষয়গুলো প্রতিটি ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া ভিডিওগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত মানের গ্রাফিকস ও নোটস আকারে দেওয়া হয়েছে পুরো অধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য পয়েন্ট।

গোজিএইটের সদর দপ্তর সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহতে। প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকা অঞ্চলের ওপর কার্যক্রম পরিচালনায় জোর দিচ্ছে তারা, যার শুরুটা হয়েছে বাংলাদেশের মাধ্যমেই। ‘স্কুলবাড়ি’ শিরোনামে ‘গোজিএইট’ ইতিমধ্যেই তাদের ইউটিউব চ্যানেল ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করেছে।

গোজিএইট স্কুলবাড়ির ভিডিওগুলো এরই মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। মাত্র তিন মাসেই অধ্যায়ভিত্তিক ভিডিওগুলো তাদের ইউটিউবসহ অন্যান্য অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় ১.২ মিলিয়ন মানুষ দেখেছে।

গোজিএইট স্কুলবাড়ির ব্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজিস্ট সাদিয়া হোসেন বলেন, ‘পড়ালেখাকে কীভাবে আরও সহজ ও আনন্দময় করা যায়, সে বিষয়ে আমরা সব সময় তৎপর। তাই আমাদের পাঠ কার্যক্রমজুড়ে প্রচুর ছবি, অ্যানিমেশন ও ইনফোগ্রাফিকস রয়েছে। ফলে শিশুদের কাছে ক্লাসগুলো হয়ে উঠছে একই সঙ্গে আনন্দের ও সহজে শিক্ষণীয়। শিক্ষার্থীদের কল্পনার জগৎকে গ্রাফিকসের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমরা। ‘‘বীরপুরুষ’’ কবিতাটি পড়ে সবারই মাকে নিয়ে বীরপুরুষের মতো দূরে যেতে ইচ্ছা করে, এই বিষয়কেই গ্রাফিকসের মাধ্যমে দেখানোর চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি তারা যেন কবিতার প্রতিটি লাইন আনন্দের সঙ্গে পড়ে মনে রাখতে পারে, সে জন্য প্রতিটি ভিডিওর শেষে নোটসের ব্যবস্থা করেছি।’

সাদিয়া হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা পড়ালেখাকে কোনোভাবেই শুধু মুখস্থ করা আর পরীক্ষায় ভালো ফলাফলে আটকে রাখতে চাই না। এমনকি পড়ালেখাকে কঠিন করেও তুলতে চাই না। বাচ্চাদের ওপর থেকে পড়ালেখার চাপ কমিয়ে আমরা তাদের সৃজনশীলতাকে প্রকাশ করতে চাই। সে জন্যই বাছাই করা দেশসেরা ছাত্রছাত্রীদের ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে আমরা আমাদের শিক্ষক প্যানেল গঠন করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা এই প্ল্যাটফর্মে ক্লাস নিচ্ছেন। আমাদের বিশ্বাস, শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য সবচেয়ে বড় অনলাইন এডুকেশন প্ল্যাটফর্ম হতে চলেছে গোজিএইট স্কুলবাড়ি।’

‘স্কুলবাড়ি’ শিরোনামে ‘গোজিএইট’ ইতিমধ্যেই তাদের ইউটিউব চ্যানেল ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করেছে।

গোজিএইট স্কুলবাড়ির ভিডিওগুলো এরই মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। মাত্র তিন মাসেই অধ্যায়ভিত্তিক ভিডিওগুলো তাদের ইউটিউবসহ অন্যান্য অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় ১.২ মিলিয়ন মানুষ দেখেছে। তার মধ্যে শুধু ইউটিউবেই ভিডিওগুলো দেখেছে প্রায় ছয় লাখ মানুষ, যা বাংলাদেশের অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্মের জন্য উজ্জ্বল সম্ভাবনার সূচনা।