এসএসসিতে পাসের হারে সেরা রাজশাহী
এবারও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দেশের আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে পাসের হারের দিক থেকে রাজশাহী সেরা হয়েছে। এই বোর্ডে পাসের হার ৯১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। অন্যদিকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সারা দেশে গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ।
এবার ৮টি সাধারণ বোর্ডে ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা হয়েছিল। সেবার রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড পাসের হারে দেশসেরা হয়েছিল। গত বছর এই বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৬ দশমিক ০৭ শতাংশ।
গতবার এই বোর্ডে মেয়েরা পাসের হারে এবং ছেলেরা জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে এগিয়ে ছিল। এবার পাস ও জিপিএ-৫ দুই দিক দিয়েই সেরা মেয়েরা।
এবার রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৩ হাজার ৮৮১ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ৯৬ হাজার ৬১৮ জন। ছাত্রের সংখ্যা ১ লাখ ৭ হাজার ২৬৩ জন। ছাত্রদের উপস্থিতি বেশি হলেও ছাত্রীরা জিপিএ-৫ ও পাস করেছে বেশি। ছাত্রীদের পাসের হার ৯২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৯০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ১১ হাজার ৬৮৬ জন ছাত্রী ও ১১ হাজার ১০৯ জন ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছে।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এবার একজনও পাস করেনি—এমন বিদ্যালয় রয়েছে একটি। গত তিন বছর ধরে এই বোর্ডে একটি করে বিদ্যালয় থেকে কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি। তবে এবার বোর্ডে শতভাগ পাস করা বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়েছে। এবার ৪৩১টি বিদ্যালয় থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গতবার এই সংখ্যা ছিল ২০৬টি। গতবারের চেয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বিদ্যালয়ের সংখ্যাও বেড়েছে। এবার ২ হাজার ৬৪৬টি বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। গতবার এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬৪৩টি।
এবার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাসের হার সবচেয়ে বেশি। এই বিভাগে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্যবসায় শিক্ষা। এই বিভাগে পাসের ৯১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আর মানবিক বিভাগের পাসের হার ৮৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনারুল হক সারা দেশের মধ্যে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সেরা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বোর্ডের ভালো ফলাফলের বিষয়ে আনারুল হক বলেন, সরকারের প্রত্যাশা দেশের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করুক। সেটা এখনো সম্ভব হচ্ছে না। তবে সামগ্রিকভাবে তিনি মনে করছেন, রাজশাহী বোর্ডের পাসের হার সন্তোষজনক। তা ছাড়া এবার নির্বাচনী পরীক্ষায় যারা অকৃতকার্য হয়েছে, তারা বোর্ড পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পায়নি। এ কারণে বোর্ড পাসের হারের ওপরে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
মেয়েদের ভালো ফলাফলের বিষয়ে আনারুল হক বলে, ‘ছেলেরা বাইরে খেলাধুলা, রাজনীতিসহ নানা বিষয়ে জড়ায়। মেয়েরা এসবে সময় দেয় না। তারা বাড়িতে বসে পড়াশোনা করে।’