২০২১ সালের শিক্ষাপঞ্জিতে ছুটি ৮৫ দিন
নতুন বছরে সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮৫ দিন ছুটি রেখে শিক্ষাপঞ্জি তৈরি করা হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে, এমন অনিশ্চয়তার মধ্যেই এ শিক্ষাপঞ্জি তৈরি করা হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০২১ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি অনুমোদন করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এবারও প্রধান শিক্ষকের সংরক্ষিত তিন দিনের ছুটিসহ বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে ৮৫ দিন ছুটি রাখা হয়েছে। ছুটির তালিকার বিভিন্ন পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করে বেশ কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
পবিত্র রমজান মাস, মে দিবস, বুদ্ধপূর্ণিমা, বৈশাখী পূর্ণিমা, শবে কদর, জুমাতুল বিদা ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১৪ এপ্রিল থেকে ১৯ মে ৩১ দিন ছুটি থাকবে। এ ছাড়া ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশে ১৭ থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত ১২ দিন বন্ধ থাকবে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে ১১ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত নয় দিন ছুটি রাখা হয়েছে। এ ছাড়া শীতকালীন অবকাশ, বিজয় দিবস, বড়দিন উপলক্ষে ১৫ থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩ দিন ছুটি থাকবে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
১২ থেকে ২৪ জুনের মধ্যে অর্ধবার্ষিক/প্রাক্–নির্বাচনী পরীক্ষা, ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত নির্বাচনী পরীক্ষা এবং ২৮ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। মোট ১২ দিনের মধ্যে এসব পরীক্ষা নিয়ে ফল ১০ জুলাই, ৬ নভেম্বর ও ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উল্লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা, নির্বাচনী পরীক্ষা ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করবে এবং বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র অন্তত এক বছর সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতি পরীক্ষার সময়কাল ১৪ দিনের বেশি হবে না।
এবারও ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাবর্ষ হিসাব করে প্রথম কর্মদিবস, অর্থাৎ ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক দিবস হিসেবে উদ্যাপনের জন্য রাখা হয়েছে।
নির্দেশনায় সরকার বলেছে, ছুটির সময়ে অনুষ্ঠেয় ভর্তি বা অন্যান্য পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনে বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে। এ ছাড়া উপবৃত্তি, ভর্তি পরীক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনে বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে।
জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১৫ আগস্ট ও ১৬ ডিসেম্বর ক্লাস বন্ধ থাকলেও সংশ্লিষ্ট দিবসের বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিদ্যালয়ে দিবসটি উদ্যাপন করতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।