বুয়েটে ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

বুয়েট
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৩ মে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। ওইদিন বিকেল তিনটায় শেষ হবে এই আবেদন প্রক্রিয়া। আজ শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সময় বাড়ানো সংক্রান্ত একটি নোটিশ বুয়েটের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

বুয়েটের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ১৫ এপ্রিলে। শেষ হওয়ার কথা ছিল আজ শনিবার (২৪ এপ্রিল) শনিবার বিকেল ৩টায়। তবে সারাদেশে লকডাউনের কারণে আজ আবার আবেদনপত্র জমার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। আবেদনপত্র পূরণ ও জমা দেওয়ার শেষ সময় ৩ মে বিকেল তিনটা পর্যন্ত।

বুয়েট স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা নেবে দুই ধাপে। এর মধ্যে প্রাক্‌-নির্বাচনী পরীক্ষা (প্রাথমিক বাছাই) নেওয়া হবে আগামী ৩১ মে ও ১ জুন। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ১০ জুন চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বুয়েট। এবার করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব পরীক্ষা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

এদিকে গত ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বুয়েটের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রশ্নের ধারণা দিতেই এমন করা হয়েছে।

‘ক’ গ্রুপে (প্রকৌশল ও বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পন বিভাগ) আবেদন, প্রাক্‌-নির্বাচনী ও মূল ভর্তি বাবদ ১ হাজার এবং ‘খ’ গ্রুপে (প্রকৌশল ও বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পন বিভাগ ও স্থাপত্য বিভাগে) ১ হাজার ২০০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফি দিয়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষা কবে

এরপর আগামী ৩১ মে ও ১ জুন চার শিফটে এক ঘণ্টায় ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে প্রাক্‌-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৫ জুন মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য আবেদনকারীদের নাম প্রকাশ করবে বুয়েট। আগামী ১০ জুন বুয়েটের মূল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর আগামী ১ জুলাই নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

আবেদনের পদ্ধতি

আবেদন করার নিয়ম ও ভর্তির নির্দেশিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (https://www.buet.ac.bd)–তে পাওয়া যাবে। ভর্তি পরীক্ষার সব কার্যক্রমের খবর বুয়েটের ওয়েবসাইট এবং নোটিশ বোর্ডে পাওয়া যাবে।

আসনসংখ্যা

পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের প্রকৌশল বিভাগ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট তিনটি এবং স্থাপত্য বিভাগে ১টি সংরক্ষিত আসনসহ মোট আসনসংখ্যা ১ হাজার ২১৫।