গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কবে, জানা যেতে পারে আজ

গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আগেরই মতো হবেফাইল ছবি: প্রথম আলো

এবার গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে যুক্ত হয়েছে নতুন আরও তিন বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়েছে সাধারণ (জিএসটি) গুচ্ছে। ফলে এবার সাধারণ গুচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪টি। ভর্তি পরীক্ষা, ভর্তি, ক্লাস শুরুসহ বিভিন্ন সূচি ঠিক করতে আজ রোববার বৈঠকে বসার কথা ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছের কোর কমিটি। আজকের বৈঠকে আবেদনপ্রক্রিয়া কবে শুরু হবে, কোন ইউনিটের পরীক্ষা কবে, ফি, মাইগ্রেশন, কেন্দ্র নির্ধারণসহ যাবতীয় বিষয় চূড়ান্ত হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এবার ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর সঙ্গে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা।

আরও পড়ুন

এদিকে গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেছেন, সুযোগ পেলে সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে যেতে চান শিক্ষকেরা। সমন্বিত ভর্তিতে আয়োজকদের অদক্ষতা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নানা ভোগান্তির কথাও বলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকেরা। এখন শিক্ষকেরা চাইছেন, দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে যুক্ত হয়ে যদি স্বচ্ছ নীতিমালায় পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়, তবেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সে পরীক্ষাপদ্ধতিতে অংশ নেবে।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাশরিক হাসান বলেন, ‘আমরা কোনো সুযোগ পেলেই গুচ্ছ থেকে বের হয়ে যেতে চাই। আমরা আসলে কোনোভাবেই গুচ্ছে যেতে চাই না। যদি যেতেই হয়, তবে আমাদের ১০ দফা দাবি কার্যকর করতে হবে।’

শিক্ষকদের ১০ দফা দাবিগুলো হলো—সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একই দিনে আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে শুরু করা; ভর্তিপ্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা ও মাইগ্রেশনের জটিলতা নিরসনপূর্বক ছাত্র হয়রানি বন্ধ করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিপূর্বে পাওনা টাকা বুঝিয়ে দেওয়া; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা আলাদা পরীক্ষা; শিক্ষার্থীদের আসনসংখ্যা অনুযায়ী ভর্তি পূর্ণ করা; ভর্তির আবেদন ফি কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করা; ভর্তি আবেদন ফি ব্যতীত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন, মাইগ্রেশন, ভর্তি বাতিল বা অন্য কোনো কারণে অর্থ প্রদান করবে না তা নিশ্চিত করা; বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক আবেদনের সংখ্যা অনুযায়ী অর্থ প্রদান করা; পরীক্ষা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহের জন্য এবং এর স্বচ্ছতার জন্য একটি সুস্পষ্ট আর্থিক নীতিমালা করা।

আরও পড়ুন

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

নতুন করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন পাওয়া সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর এবার নতুন যুক্ত হচ্ছে।

আরও পড়ুন