গুচ্ছের ফাঁকা আসনে ভর্তিতে আগ্রহীদের ‘সম্মতি’ সোমবারের মধ্যে
গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে শূন্য আসনে ভর্তি হতে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা ভর্তিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক ভর্তির বিষয়ে নির্দেশনা প্রকাশ করেছে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ভর্তি কমিটি। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগ্রহী প্রার্থীদের ভর্তিতে সম্মতি জানাতে হবে। সোমবার (২ অক্টোবর) রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে এ সম্মতি জানাতে হবে।
আজ রোববার (১ অক্টোবর) সকালে গুচ্ছ ভর্তির ওয়েবসাইটে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চার ধাপে আবেদনপ্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এখন শূন্য কিছু আসন পূরণে ‘বিশেষ ধাপে’ শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। এতে আগ্রহী প্রার্থীদের সম্মতি জানাতে হবে।
বিশেষ ধাপ গুলো হলো—
১. বিশেষ পর্যায়ে ভর্তিকৃত যে শিক্ষার্থীরা বিষয় মাইগ্রেশন বন্ধ করেননি, তাঁদের ক্ষেত্রে শুধু বর্তমানে ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মেধাক্রমের ভিত্তিতে বিষয় মাইগ্রেশন সম্পন্ন করা হবে। তবে মাইগ্রেশনের মাধ্যমে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবে না।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মাইগ্রেশন সম্পন্ন করার পর অনলাইনে জিএসটিতে ভর্তিসংক্রান্ত সম্মতি প্রদানকারী শিক্ষার্থীরা মেধাক্রমের ভিত্তিতে শূন্য আসনগুলোতে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
৩. যে শিক্ষার্থীরা এখন পর্যন্ত জিএসটিতে ভর্তির সুযোগ পাননি, তাঁদের ২ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে জিএসটিতে ভর্তিসংক্রান্ত সম্মতি প্রদান করতে হবে। সম্মতি প্রদানের জন্য জিএসটি স্টুডেন্ট প্যানেলে লগইন করে ‘GST Admission’ ব্লকে প্রদত্ত ‘Yes’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
প্রাথমিক ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময়ে যেসব বিষয় লক্ষণীয়
পছন্দক্রমে অন্তর্ভুক্ত যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রাথমিক ভর্তির জন্য প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার পরও প্রাথমিক ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন না করলে পরবর্তীকালে জিএসটি-গুচ্ছভুক্ত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন না। এমনকি কোটায় ভর্তির জন্যও বিবেচিত হবেন না।
প্রাথমিক ভর্তি ফি পাঁচ হাজার টাকা অনলাইনে পরিশোধের পরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মূল কাগজপত্র জমা দিতে না পারলে ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে এবং জিএসটির কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন না।
কোনো আবেদনকারী প্রাথমিক ভর্তি বাতিল করলে পরবর্তীকালে জিএসটির কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ থাকবে না।
ভর্তিপদ্ধতি-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও অনলাইনে প্রাথমিক ভর্তি সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় বিবরণ ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
গত ২১ আগস্ট গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও ফি জমার শেষ দিন ছিল। ২২ আগস্ট মূল কাগজপত্র জমা নেওয়া হয়। এরপর সব কটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ক্লাসও শুরু হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ২ হাজার ১০০ আসন এখনো শূন্য। এ নিয়ে ‘বিশেষ ধাপ’ উল্লেখ করে চলতি বছর শেষবারের মতো শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দিচ্ছে গুচ্ছ ভর্তি কমিটি।