বুয়েটে প্রাক্-নির্বাচনীতে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ, নির্বাচিত ২৪২০৫
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তির প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন ২৪ হাজার ২০৫ জন। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বুয়েটের ওয়েবসাইটে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
বুয়েটে ভর্তিতে গত ৩০ নভেম্বর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। ১৪ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলে আবেদন। এবার প্রাথমিক আবেদন ফি ছিল ৫০০ টাকা।
প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষা অংশ নিতে ফি জমা দিয়ে প্রাথমিক আবেদন করেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্য থেকে বাছাই করে ২৪ হাজার ২০৫ জনকে প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
আবেদন ফি
প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপে ফি পরিশোধ করতে হবে। এ ধাপে তাঁদের ‘ক’ গ্রুপের জন্য ৮০০ এবং ‘খ’ গ্রুপের জন্য ১ হাজার টাকা জমা দিতে হবে।
বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ তারিখ
১.
প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষা: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার (পরীক্ষার শিফট ও সময় পরবর্তী সময়ে বুয়েটের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে)।
২.
মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
৩.
মূল ভর্তি পরীক্ষা: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, (মডিউল ‘A’: গ্রুপ ‘ক’ এবং ‘খ’ উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়ন, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা) এবং
(মডিউল B: ‘খ’ গ্রুপ মুক্তহস্ত অঙ্কন (Freehand Drawing) এবং দৃষ্টিগত ও স্থানিক ধীশক্তি (Visual Spatial Intelligence) বেলা ২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট)।
৪.
ভর্তির জন্য নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ: ৮ মার্চ ২০২৫।
পরীক্ষার নম্বর
গ্রুপ ‘ক’: প্রকৌশল বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল–পরিকল্পনা বিভাগের (উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন) মূল ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচিতে হবে।
গ্রুপ ‘খ’: প্রকৌশল বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল–পরিকল্পনা বিভাগের (উচ্চতর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন) মূল ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচিতে হবে। এই গ্রুপের মুক্তহস্ত অঙ্কন এবং দৃষ্টিগত ও স্থানিক ধীশক্তির পরীক্ষা উন্মুক্ত।
মূল ভর্তি পরীক্ষায় ‘ক’ গ্রুপের জন্য ৪০০ নম্বরের এবং ‘খ’ গ্রুপের জন্য মোট ৮০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
মোট আসনসংখ্যা কত
আসন ১ হাজার ৩০৫টি। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্য এলাকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের জন্য প্রকৌশল বিভাগসমূহ ও নগর ও অঞ্চল–পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট ৩টি, স্থাপত্য বিভাগে ১টি সংরক্ষিত আসনসহ সর্বমোট আসনসংখ্যা ১ হাজার ৩০৯।
প্রাক্-নির্বাচনীতে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।