১২টি ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি : বাংলা-১

ক্যাডেট কলেজগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল শাখার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম এবং অতিরিক্ত শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্যাডেটদের সুনাগরিক ও চৌকস ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। ২০২৫ সালে ক্যাডেট কলেজের ভর্তি পরীক্ষা আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা।

বর্তমানে বাংলাদেশে ১২টি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে। ছেলেদের জন্য ৯টি ও মেয়েদের জন্য ৩টি ক্যাডেট কলেজে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হবে। ক্যাডেট কলেজগুলোতে ভর্তি নেওয়া হয় ৭ম শ্রেণিতে, ফলে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো আসে ষষ্ঠ শ্রেণির বই থেকে। আর ভর্তির প্রক্রিয়াটি হবে লিখিত, মৌখিক ও স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার মাধ্যমে। ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস: জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ষষ্ঠ শ্রেণির সিলেবাসের আলোকে ভর্তি পরীক্ষা হবে। ভর্তি পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর: মোট নম্বর ৩০০। গণিতে ১০০, ইংরেজিতে ১০০, বাংলায় ৬০ ও সাধারণ জ্ঞানে ৪০ নম্বর।

ক্যাডেট কলেজে ভর্তিতে বাংলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রস্তুতির জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন ফেনী সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. আফলাতুন।

আরও পড়ুন

#বিপরীত শব্দ—
মূল শব্দ বিপরীতার্থক শব্দ
গ্রহণ বর্জন
গদ্য পদ্য
গৌণ মুখ্য
গুরু লঘু
গুণ দোষ
ঘন পাতলা
ঘোলা স্বচ্ছ
ঘর বাহির
ঘাত প্রতিঘাত
ঘুমিয়ে জেগে
চোখা ভোঁতা
চিরকাল ক্ষণকাল
চড়াই উৎরাই
চঞ্চল স্থির
চালাক বোকা
জাগ্রত সুপ্ত
জয় পরাজয়
জ্ঞাত অজ্ঞাত
জীবিত মৃত
জিত হার
জয় পরাজয়
জ্ঞানী মূর্খ
ডান বাম
তির্যক ঋজু
তাপ শৈত৵
তপ্ত শীতল
দেনা পাওনা
দুর্গম সুগম
দূরে কাছে
দীর্ঘ হ্রস্ব
দৈন্য প্রাচুর্য
ধ্বংস সৃষ্টি
ধনী গরিব
ন্যূন অধিক
নরম কঠিন
নিরক্ষর সাক্ষর
নীরব সরব
নির্দয় সদয়
প্রশংসা নিন্দা
পাপ পুণ্য
পছন্দ অপছন্দ
প্রবেশ প্রস্থান
প্রকৃত বিকৃত
প্রত্যক্ষ পরোক্ষ
বড় ছোট
বন্য সভ্য
বিষ অমৃত
মহৎ নীচ
মুখ্য গৌণ
রিক্ত পূর্ণ
যৌবন বার্ধক্য
যাও এসো
রাত দিন
লাভ ক্ষতি
শুষ্ক সিক্ত
শোক হর্ষ
শীঘ্র বিলম্ব
শিষ্ট অশিষ্ট
শত্রু মিত্র
শাশ্বত নশ্বর
স্মৃতি বিস্মৃতি
সত্য মিথ্যা
সুগম দুর্গম
স্বর্গ নরক
সকাল বিকাল
সরব নীরব
সৎ অসৎ
সূক্ষ্ম স্থূল
স্বদেশ বিদেশ
সমষ্টি ব্যষ্টি
সৃষ্টি লয়
স্বাধীন পরাধীন
সুখ দুঃখ
সুন্দর কুৎসিত
স্থির চঞ্চল
হর লব
হার জিত
হাসি কান্না
হালকা ভারী

ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী
ছবি: ক্যাডেট কলেজসমূহের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া
আরও পড়ুন

প্রতিশব্দ—
অলকা: স্বর্গ, বেহেশত, সুরলোক, অমরাবতী, দ্যুলোক, দেবলোক।
আকাশ: গগন, শূন্য, নভ, অম্বর, ব্যোম।
আগুন: অগ্নি, অনল, পাবক, বহ্নি, বায়ুসখা, বৈশ্বানর, সর্বভুক, হুতাশন।
কন্যা: মেয়ে, দুহিতা, ঝি।
কপাল: ভাল, ললাট।
কাঁধ: অংস, ঘাড়, পুট, স্কন্ধ।
কান: কর্ণ, শ্রবণেন্দ্রিয়, শ্রুতি, শ্রুতিপথ, শ্রোত্র।
কূল: কিনার, কিনারা, তট, তটভূমি, তীর, পাড়।
গলা: কণ্ঠ, গলদেশ, গ্রীবা, কণ্ঠদেশ, গল।
গাছ: উদ্ভিদ, তরু, বৃক্ষ, পাদপ, পল্লবী, বনস্পতি, বিটপী, মহিরুহ, দ্রুম।
গাল: কপোল, গণ্ডদেশ, গণ্ড, গণ্ডলেখা।
ঘর: গৃহ, বাড়ি, আলয়, আবাস, নিকেতন, নিবাস, নিলয়।
চাঁদ: ইন্দু, চন্দ্র, নিশাকর, বিধু, শশধর, শশাঙ্ক, শশী, সুধাকর, সুধাংশু, হিমাংশু।
চোখ: নয়ন, অক্ষি, আঁখি, চক্ষু, দর্শনেন্দ্রিয়, নেত্র, লোচন।
জিভ: জিব, জিহ্বা, রসনা, রসনেন্দ্রিয়, আস্বাদনী।
ঢেউ: তরঙ্গ, লহরি, ঊর্মি, কল্লোল, হিল্লোল, উল্লোল।
তারা: তারকা, নক্ষত্র, সেতারা, ঋক্ষ, জ্যোতিষ্ক।
তৈরি: গঠন, নির্মাণ, গড়া, বানানো, প্রস্তুত।
দাঁত: দন্ত, দন্তক, দশন, রদ।
দিন: দিবস, দিবা, বার, রোজ, অহ, অহ্ন।
দেহ: শরীর, গা, গাত্র, তনু, অঙ্গ।
নদী: নদ, গাঙ, তটিনী, তরঙ্গিণী, নির্ঝরিণী, প্রবাহিণী, স্রোতস্বিনী, স্রোতোবহা।
নাক: নাসা, নাসিকা, ঘ্রাণেন্দ্রিয়।
নারী: মানবী, মহিলা, স্ত্রীলোক।
পর্বত: পাহাড়, অদ্রি, গিরি, ভূধর, শৃঙ্গধর, শৈল, অচল।
পা: চরণ, ঠ্যাং, পদ, পাদ।
পাখি: পক্ষী, বিহগ, বিহঙ্গ, খগ, খেচর, শকুন্ত, বিহঙ্গম।
পাথর: অশ্ম, প্রস্তর, শিল, শিলা, উপল, কঙ্কর, কাঁকর, পাষাণ।

বাংলা যতিচিহ্নের ব্যবহার—
# আমরা কথা বলার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করে থাকি। বাক্যের অর্থ প্রকাশের জন্য বাক্যের মাঝখানে মাঝেমধ্যে থামতে হয়। এই থামার নির্দেশক হিসেবে ব্যবহৃত হয় কিছু চিহ্ন।
# বাক্যের অর্থকে সুস্পষ্টভাবে উপস্থাপনের জন্য বাক্যের মধ্যে বা শেষে যেসব চিহ্ন ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে যতিচিহ্ন বলে। এগুলোকে বিরামচিহ্ন বা ছেদচিহ্নও বলা হয়।
# প্রশ্ন, আবেগ (আনন্দ, দুঃখ, ভয়, ঘৃণা বা বিষাদ) প্রকাশক বাক্য বোঝানোর জন্যও কিছু সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়৷
# যতিচিহ্নগুলোর আলাদা আলাদা আকৃতি আছে। যেমন: দাঁড়ি (। ), কমা (, ), সেমিকোলন (; ), প্রশ্নচিহ্ন (? ), বিস্ময়চিহ্ন (! ), হাইফেন (-), কোলন (: ) ইত্যাদি।
যতিচিহ্নের কাজ—
*দাঁড়ি (। )। বাক্যের সমাপ্তি বা পূর্ণ বিরতি বোঝাতে বাক্যের শেষে দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ ব্যবহৃত হয়। যেমন: সে খেলার মাঠ থেকে বাড়ি ফিরল। বাংলায় লেখা স্টিকার এই প্রথম দেখলাম।
*প্রশ্নচিহ্ন বা জিজ্ঞাসাচিহ্ন (? )। প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা বোঝাতে প্রশ্নচিহ্ন বা জিজ্ঞাসাচিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন: সে কখন এসেছে? কেন বোন পারুল ডাকোরে?
*বিস্ময়চিহ্ন (! )। মনের আবেগ, যেমন ভয়, ঘৃণা, আনন্দ ও দুঃখ ইত্যাদি প্রকাশ করতে এবং সম্বোধন পদের পর বিস্ময়চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন: বাহ! তুমি তো চমৎকার ছবি আঁকো। ওমা! কী হলো চুড়িটার?
*কমা (, )। বাক্যের মধ্যে অল্প বিরতির জন্য কমা ব্যবহৃত হয়। যেমন: সুখ চাও, সুখ পাবে পরিশ্রমে। আমার পছন্দের ফুল গোলাপ, বেলি, জুঁই আর হাসনাহেনা। সুমি, এদিকে এসো। নিপা, এদিকে তাকাও।
*সেমিকোলন (; )। ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্ক আছে, এমন দুটি বাক্যের মাঝখানে সেমিকোলন বসে। যেমন: তিনি এলেন; তবে বেশিক্ষণ বসলেন না।
*কোলন (: )। একটি পূর্ণ বাক্যের পরে অন্য একটি বাক্যের অবতারণা করতে হলে কোলন ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া উদাহরণ উপস্থাপনের সময়ও কোলন বসে। যেমন: সভায় সিদ্ধান্ত হলো: এক মাস পর নতুন সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যোগাযোগের দুটি রূপ: ভাষিক যোগাযোগ ও অভাষিক যোগাযোগ।
*ড্যাশ (-)। এক বাক্যের ব্যাখ্যা পরের বাক্যে করা হলে দুই বাক্যের মাঝে ড্যাশচিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-নোবেল পুরস্কার বিজয়ী-আমাদের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা।
*হাইফেন (-)। দুটি শব্দকে এক করতে কিংবা সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেখানোর জন্য হাইফেন ব্যবহৃত হয়। যেমন: মা-বাবার কথা মেনে চলা উচিত।
*উদ্ধৃতিচিহ্ন (‘ ’)। কারও কথা সরাসরি দেখানোর জন্য উদ্ধৃতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন: শিক্ষক বললেন, ‘তোমরা বড় হয়ে সিরাজউদ্দৌলা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবে।’ এ ছাড়া সাহিত্যের ব্যাখ্যায়, গণিতে ও শব্দ বা বাক্য সংক্ষেপ করায় কিছু চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।
*বন্ধনী-চিহ্ন ( ), { }, [ ]। বন্ধনী-চিহ্ন গণিতে ব্যবহৃত হয়। তবে প্রথম বন্ধনীটি বিশেষ ব্যাখ্যামূলক অর্থে সাহিত্যে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন: তিনি ত্রিপুরায় (বর্তমানে কুমিল্লা) জন্মগ্রহণ করেন।
*বিন্দুচিহ্ন ( . )। শব্দের সংক্ষিপ্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিন্দুচিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন: তিনি পি. এইচ. ডি ডিগ্রি লাভ করেছেন। রাজু এবার এস. এস. সি পাস করেছে।

যতিচিহ্ন নিয়ে প্রশ্নোত্তর—
প্রশ্ন: বাক্যে যতিচিহ্ন ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তর: বাক্যের অর্থ স্পষ্টভাবে বোঝানোর জন্য বাক্যে যতিচিহ্ন ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন: বাক্যের সমাপ্তি বা পূর্ণ বিরতি বোঝাতে কোন যতিচিহ্ন ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: বাক্যের সমাপ্তি বা পূর্ণ বিরতি বোঝাতে দাঁড়ি ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন: বাক্যে প্রশ্নচিহ্ন ব্যবহৃত হয় কেন?
উত্তর: প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা বোঝাতে বাক্যে প্রশ্নচিহ্ন ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন: ভয়, ঘৃণা, আনন্দ, দুঃখ প্রকাশে বাক্যে কোন যতিচিহ্ন ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: ভয়, ঘৃণা, আনন্দ, দুঃখ প্রকাশে বাক্যে বিস্ময়চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন: অল্প বিরতির জন্য বাক্যে কোন যতিচিহ্ন ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: অল্প বিরতির জন্য বাক্যে কমা ব্যবহার করা হয়।

  • ভর্তির বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে ওয়েবসাইট দেখুন।