গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৩৩.৯৮, শিক্ষার্থীরা পাবেন রাতে
দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনুষ্ঠিত গুচ্ছভুক্ত জিএসটির ‘এ’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ পরীক্ষায় পাসের হার ৩৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শিক্ষার্থীরা আজ মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে থেকে জিএসটির ওয়েবসাইটে ঢুকে তাঁদের ফলাফল জানতে পারবেন।
আজ বিকেলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যবিপ্রবি উপাচার্য মো. আনোয়ার হোসেন ‘এ’ ইউনিটের ফলাফল ঘোষণা করেন।
অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ২০২৩-২৪ সেশনে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য এ বছর ‘এ’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ পরীক্ষার্থী আবেদন করে। এর মধ্যে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯১ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে ৫০ হাজার ৭৬০ শিক্ষার্থী ৩০ নম্বরের ওপরে পেয়ে কৃতকার্য হয়েছেন, যার হিসাবে পাসের হার ৩৩ দশমিক ৯৮। পাসকৃত সব শিক্ষার্থীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। অনুত্তীর্ণ হয়েছেন ৯৮ হাজার ৫৪৭ জন, যার হিসাবে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন ৬৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এ ছাড়া শূন্য দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ তথা ৮৪ শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল হয়েছে। ‘এ’ ইউনিটের গতবার পাসের হার ছিল ৪৩ দশমিক ৩৫। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে থেকে জিএসটির ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল জানতে পারবেন।
বিভিন্ন কারণে এ বছর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল উল্লেখ করে অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভর্তিপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়াসহ নানা কারণে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এটি নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছিলেন। তবে ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে ঐক্যবদ্ধভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণে সবাই সম্মত হয়েছি। সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চতুর্থবারের মতো ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফের নামের একটি স্বাক্ষরবিহীন পত্র জিএসটির সচিব বরাবর ডাকযোগে পাঠানো হয়েছিল। আমরা সেটিকে আমলে নিয়ে সর্বস্তরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সব পরীক্ষাকেন্দ্রেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি। সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ যাঁরা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের সামরিক-বেসমারিক, আধা-সামরিক, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাহমুদ হোসেন, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. কামরুজ্জামান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৌমিত্র শেখর দে, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মো. আনিছুর রহমান, জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন মো. সিরাজুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
আগামী ৩ মে ‘বি’ ইউনিটে মানবিক ও ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।