চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিটভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ইউনিটভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ভর্তি কমিটি ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ১৬ মে থেকে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিট দিয়ে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে এ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভর্তি কার্যক্রম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংক্রান্ত ও বিজ্ঞপ্তি ও ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আগামী ১৬ ও ১৭ মে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিট, ১৮ ও ১৯ মে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিট, ২০ মে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিট এবং সকলের জন্য উন্মুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি অনুষ্ঠিত হবে ২২ মে। প্রতিটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে। এ ছাড়া ‘ডি-১’ ও ‘বি-১’ উপ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৪ মে ও ২৫ মে ।
এদিকে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু আজ বৃহস্পতিবার। চলবে আগামী ১২ এপ্রিল পর্যন্ত। মোট আবেদন ফি ৯৫০ টাকা। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারিত আবেদন ফি ‘রকেট’ বা ‘বিকাশ’-এর মাধ্যমে জমা দেওয়া যাবে। দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কাটা যাবে।
১৬ মার্চ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় ২৮ মার্চ আবেদনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর আগে ৭ মার্চ ডিনস কমিটির সভায় ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় ২০ মার্চ থেকে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ দুই সভার সিদ্ধান্তই পরিবর্তন হয়েছে।
আবেদনের তারিখ পেছানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীদের ফলাফলের তথ্য নেওয়া হয় সরকারি মোবাইল সেবাদাতা কোম্পানি টেলিটক থেকে। এ কোম্পানি থেকে তথ্য পেতে বিলম্ব হয়েছে। এ কারণে আবেদনের তারিখ পেছানো হয়েছে।
গত বছরের মতো এবারও ৪টি ইউনিট ও ২টি উপ-ইউনিটের মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এবারও ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউটে ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের জন্য শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। এর মধ্যে সাধারণ আসন ৪ হাজার ১৮৯টি ও কোটা ৭৩৭টি।
দ্বিতীয়বার আবেদনের সুযোগ
২০২০ সালের মাধ্যমিক বা দাখিল বা সমমান পরীক্ষা এবং ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক বা আলিম বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ব্যতীত অন্য শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক বা দাখিল বা সমমান এবং উচ্চমাধ্যমিক বা আলিম বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তাঁদের সর্বমোট [এমসিকিউ+এসএসসি ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর গুণিতক ব্যবহারিক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)] প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৫ (পাঁচ) নম্বর কর্তন করে মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হবে।
ভর্তির যোগ্যতা
যেসব আবেদনকারীর বাংলাদেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ডের অধীন ২০১৯ বা ২০২০ সালের মাধ্যমিক বা দাখিল বা সমমান পরীক্ষা এবং ২০২১ বা ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক বা আলিম বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে ভর্তি নির্দেশিকায় উল্লিখিত সংশ্লিষ্ট ইউনিট বা উপ-ইউনিট/ অনুষদ/ বিভাগ/ ইনস্টিটিউটভিত্তিক ভর্তির যোগ্যতা আছে, তাঁরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন।
ইউনিট/ উপ-ইউনিটগুলো হলো এ-ইউনিট, বি-ইউনিট, বি-১ উপ-ইউনিট, সি-ইউনিট, ডি-ইউনিট ও ডি-১ উপ-ইউনিট। ভর্তি নির্দেশিকায় উল্লিখিত সংশ্লিষ্ট ইউনিট বা উপ-ইউনিট এবং অনুষদ, বিভাগ/ ইনস্টিটিউটভিত্তিক ভর্তির যোগ্যতা ভর্তির ওয়েবসাইটে বিস্তারিত পাওয়া যাবে।
জিসিই (ও লেভেল এবং এ লেভেল) ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং সমমানের বিদেশি সার্টিফিকেটধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে যেসব আবেদনকারী ২০১৯ বা ২০২০ সালের জিসিই ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় এবং ২০২১ বা ২০২২ সালের জিসিই ‘এ’লেভেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ভর্তি নির্দেশিকায় উল্লিখিত ন্যূনতম যোগ্যতা রয়েছে, তাঁরা সংশ্লিষ্ট ইউনিট/উপ-ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন। এ-সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যাদি ভর্তির ওয়েবসাইটে প্রচারিত ভর্তি নির্দেশিকায় বর্ণিত আছে।
জিসিই (ও লেভেল এবং এ লেভেল) অথবা সমমানের বিদেশি সার্টিফিকেটধারী আবেদনকারীকে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাগুলোর সমমান করার জন্য বিজ্ঞান অনুষদ অফিসে তাঁর গ্রেডশিট/মার্কশিটগুলোর ফটোকপিসহ আবেদনের সঙ্গে রেজিস্ট্রার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে অগ্রণী ব্যাংক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে সংগৃহীত এক হাজার টাকার পে-অর্ডার সমতা নিরূপণ ফি হিসেবে প্রদান করতে হবে।
আবেদনে সংশোধনীর সুযোগ
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনলাইনে আবেদনপ্রক্রিয়ার নিয়মাবলি চবির ভর্তির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। আবেদনপত্রে যেকোনো প্রকার সংশোধনী বা ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত যেকোনো ডকুমেন্টের ডুপ্লিকেট কপি নেওয়ার জন্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ৩০০ টাকা সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হবে।
২ বছরে আবেদন ফি বাড়ল ৩০০ টাকা
ভর্তির আবেদনের জন্য ইউনিট ও উপ-ইউনিটপ্রতি একজন শিক্ষার্থীকে আবেদন ফি দিতে হবে ৮৫০ টাকা। এ ছাড়া প্রসেসিং ফি দিতে হবে আরও ১০০ টাকা। অর্থাৎ, একটি ইউনিট অথবা উপ-ইউনিটের আবেদন করতে মোট ৯৫০ টাকা লাগবে, যা গত শিক্ষাবর্ষে ছিল ৮৫০ টাকা। এর আগের শিক্ষাবর্ষে ছিল ৬৫০ টাকা। অর্থাৎ, দুই বছরের ব্যবধানে আবেদন ফি ৩০০ টাকা বেড়েছে।
নম্বর বণ্টন
সংশ্লিষ্ট ইউনিট/উপ-ইউনিটে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) অংশগ্রহণ করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষা বরাবরের মতোই ১০০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। বহুনির্বাচনী পদ্ধতির এ ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর হবে ৪০।