চুয়েট-কুয়েট-রুয়েটে চতুর্থ ধাপের ভর্তির তারিখ পরিবর্তন
সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণায় প্রকৌশল গুচ্ছের তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ ধাপের ভর্তির তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ ও ১৫ জুলাই। এর আগে ৩ ও ৪ জুলাই চতুর্থ ধাপের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ৬ জুন তৃতীয় ধাপে ভর্তির পর মেধাস্থান ও পছন্দক্রম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ নির্ধারিত তালিকা ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
তালিকা অনুযায়ী, ৩ হাজার ১১০টি আসনের বিপরীতে বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৪৫ জন শিক্ষার্থী। এখনো ফাঁকা আছে ৬৫টি আসন। এর মধ্যে চুয়েটের নগর ও পরিকল্পনা অঞ্চল বিভাগে ৮টি, রুয়েটের নগর ও পরিকল্পনা অঞ্চল বিভাগে ৩৪টি, কুয়েটের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১১টি এবং নগর ও পরিকল্পনা অঞ্চল বিভাগে ১২টি আসন ফাঁকা আছে।
আগামী ৩১ জুলাই নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন হবে বলে জানা গেছে। তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি কমিটির সভাপতি চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ কুমার পাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওরিয়েন্টেশনের বিষয়ে ইতিমধ্যে আমরা ঘোষণা দিয়েছি। ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এ সময় ভর্তি কার্যক্রমসহ সব একাডেমিক ও নন-একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা চতুর্থ ধাপের ভর্তির তারিখ পরিবর্তন করেছি।’
মেধাতালিকা অনুযায়ী গত ৮, ৯ ও ২৯ মে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। আসন পূরণ না হওয়ায় চতুর্থ ধাপে ভর্তির জন্য মেধাক্রমের ৫ হাজার ৮০১ থেকে ৬ হাজার ৫০০ পর্যন্ত ৭০০ জন শিক্ষার্থীকে ডাকা হয়। আগামী ১৪ জুলাই তাঁদের নিজ নিজ ভর্তি কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিরীক্ষা কমিটির কাছে জমা দিতে হবে। এদিন আসন খালি থাকা সাপেক্ষে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত উপস্থিত প্রার্থীদের ভর্তি নেওয়া হবে। তবে আসনসংখ্যার বেশি প্রার্থী উপস্থিত হলে অতিরিক্ত প্রার্থীদের নিয়ে মেধাক্রম অনুযায়ী একটি অপেক্ষমাণ তালিকা সংগ্রহ করা হবে। পরে আসন খালি হওয়া সাপেক্ষে অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের ভর্তির জন্য পর্যায়ক্রমে ডাকা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভর্তি কার্যক্রম চুয়েট, রুয়েট ও কুয়েট কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থী যে কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, সেই কেন্দ্রেই উপস্থিত হয়ে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। নিরীক্ষা কমিটি দ্বারা প্রার্থীদের সনদপত্র যাচাই ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। ভর্তির দ্বিতীয় দিন সকাল ১০টার মধ্যে প্রার্থীদের মেধাস্থান ও পছন্দক্রম অনুসারে নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের তালিকা সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। তালিকা অনুযায়ী ভর্তির জন্য নির্ধারিত ১৮ হাজার ৫০০ টাকা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশিত ব্যাংকে বেলা ৩টার মধ্যে জমা দিতে হবে। টাকা জমা দেওয়ার পর আবার বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভর্তির পরের দিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অটো মাইগ্রেশন–প্রক্রিয়া বন্ধ করতে পারবেন। আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ওরিয়েন্টেশনের আগের দিন পর্যন্ত ভর্তিপ্রক্রিয়া চলমান থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ প্রকৌশল গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ৯৩১টি, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ১ হাজার ৬৫টি এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) ১ হাজার ২৩৫টি আসন রয়েছে।