লটারিতে ভর্তি, সরকারি-বেসরকারি স্কুলের শূন্য আসনে তথ্য এন্ট্রি যেভাবে
আগামী শিক্ষাবর্ষে (২০২৪ সালে) প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে শূন্য আসনে তথ্য এন্ট্রি শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে টেলিটকের নির্ধারিত লিংকে প্রবেশ করে শূন্য আসনের তথ্য এন্ট্রি করতে পারছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা। ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত নতুন শিক্ষার্থী ভর্তিতে স্কুলের শূন্য আসনের তথ্য এন্ট্রি করা যাবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে সারা দেশের সব সরকারি (জাতীয়করণসহ) ও বেসরকারি (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়ের) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আপনার প্রতিষ্ঠানের শূন্য আসনসহ অন্য তথ্যাদি ১০ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের লিংক gsa.teletalk.com.bd-এ প্রবেশ করে টেলিটক প্রদত্ত ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রদান করতে হবে।
তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো অনুসরণ করতে হবে
তথ্য ফরমে ঢাকা মহানগরীর প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে এরিয়া হিসেবে নির্ধারণ করতে হবে;
তথ্য ফরমের ব্যাংকসংক্রান্ত তথ্যে অবশ্যই প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানপ্রধান অনলাইন ব্যাংকের হিসাব নম্বর ও রাউটিং নম্বর দিয়ে করবেন। কোনো প্রকার অ্যানালগ নম্বর দেওয়া যাবে না;
রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণের সময় কোনো ধরনের ভুল তথ্য দেওয়া হলে এবং এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে কোনো জটিলতা তৈরি হলে তথ্য প্রদানকারীরা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন।
২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিপ্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সম্মানিত প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি।
প্রতিবারই বছরের শেষ সময়ে এসে পরবর্তী বছরের ভর্তিপ্রক্রিয়া চলে। ভর্তি শেষে জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়। আগে কেবল প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির কাজটি হতো লটারির মাধ্যমে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়গুলোয় সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে একই প্রক্রিয়ায় ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করা হচ্ছে।