মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল রোববারের মধ্যে
চলতি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। সুষ্ঠুভাবে সারা দেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. টিটু মিয়া এ কথা প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৪৪টি প্রতিষ্ঠানে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ শিক্ষার্থী আবেদন করেন। দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ৩৮০টি ও ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৬ হাজার ২৯৫টি আসন আছে।
গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে পরীক্ষা হল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের বলেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু করার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল।
গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. টিটু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের কোনো কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র ফাঁস বা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আমরা পাইনি। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করব।’ তিনি বলেন, এ বছরও ভর্তি পরীক্ষায় ছাত্রের চেয়ে ছাত্রী বেশি। আবেদনকারীদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ ছাত্রী, ৪১ শতাংশ ছাত্র।
এ বছর ছয়টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে না। এই তালিকায় আছে রাজধানীর উত্তরার আইচি মেডিকেল কলেজ, ধানমন্ডির নর্দান মেডিকেল কলেজ, রংপুরের নর্দান মেডিকেল কলেজ, রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ, মোহাম্মদপুরের কেয়ার মেডিকেল কলেজ ও আশুলিয়ার নাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজ।
ভর্তি পরীক্ষার যত নম্বরের—
লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের প্রতিটি ১ নম্বর করে মোট (এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী) ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে অকৃতকার্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
দ্বিতীয়বার ভর্তি-ইচ্ছুকদের কত নম্বর কাটা
সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি থাকা দ্বিতীয়বার ভর্তি-ইচ্ছুকদের ১০ নম্বর কাটা হবে। এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জেলা কোটা বাতিল করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্ধারিত সময়ে আসন পূরণ করা না গেলে সেসব আসনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন।
অনেকেই মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেন। পরবর্তী সময় ভালো কোথাও ভর্তির সুযোগ পেলে আগের আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। এতে সরকারের অর্থ অপচয় হয়। এ বিষয়ে কঠোরতার জন্য মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তি থাকা দ্বিতীয়বার ভর্তি-ইচ্ছুকদের ১৫ নম্বর কাটা নিয়ে আলোচনা হয়। পরে সবার পরামর্শে ১০ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় নিরুৎসাহিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি নেই, এমন শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য আগের মতো ৫ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত বহাল আছে। জানা গেছে, মেডিকেলের মোট আসনের ২০ শতাংশ বরাদ্দ থাকে জেলা কোটায় আবেদন করা শিক্ষার্থীদের জন্য। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এ সুযোগ পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।