মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারি আজ, ফল মিলবে যেভাবে
সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়) প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির লটারি ফল আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে এ–সংক্রান্ত লটারি। লটারি–পরবর্তী ফল দেখার প্রক্রিয়া জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি)।
মাউশির এক চিঠিতে বলেছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তিপ্রক্রিয়া ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি (মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির অন্তর্ভুক্ত) ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠান মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে। ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর প্রতিষ্ঠান প্রধান/অভিভাবক/শিক্ষার্থী লিংক থেকে তাঁদের নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোড করা ফলাফল প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠান প্রধান সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতি বরাবর ই-মেইলে প্রেরণ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করবেন।
ফল জানা যাবে যেভাবে
ডিজিটাল লটারির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ফলাফল জানতে পারবেন। মাউশির দেওয়া লিংক https://gsa.teletalk.com.bd/–তে প্রবেশ করে নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করা যাবে।
নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি কমিটির সভা আহ্বান করে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে মাউশির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগে ১২ নভেম্বর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। ৩০ নভেম্বর বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আবেদনের সময় ছিল। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগেই বলেছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ডিজিটাল লটারি ব্যতীত অন্য কোনো পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। এবারের ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা।
মাউশির তথ্য অনুযায়ী, ৬৮০টি সরকারি বিদ্যালয়ে এক লাখ ৮ হাজার ৭১৬ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২ ভর্তিচ্ছু। এ ছাড়া ৪ হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে শূন্য আসন রয়েছে ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩টি। বিপরীতে আবেদন করেছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭ শিক্ষার্থী।