ঢাবির চ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ, আসনপ্রতি প্রার্থী ৫৬
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ শুক্রবার। আজ বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত (৩০ মিনিট) এই ইউনিটের সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই ইউনিটে ১৩০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৭ হাজার ৩৫৬ জন। সেই হিসাবে আসনপ্রতি প্রার্থী ৫৬ জন।
এর আগে ১১ জুন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ঘ ইউনিটের, ১০ জুন বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ক ইউনিটের, ৩ জুন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত গ ইউনিটের ও ৪ জুন কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করেছেন প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৪৮ শিক্ষার্থী। আবেদন ফি ছিল এক হাজার টাকা। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আসনসংখ্যা ৬ হাজার ৩৫। অর্থাৎ প্রতি আসনের জন্য এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৮ জন।
গত ২০ এপ্রিল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ও ফি জমা নেওয়া শুরু হয়। পাঁচটি ইউনিটেই এবার আবেদনের যোগ্যতার শর্ত কিছুটা শিথিল ছিল। এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পাঁচটি ইউনিটে (ক, খ, গ, ঘ ও চ) দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গত ১২ মে পর্যন্ত যেসব শিক্ষার্থীর আবেদন ফি জমা হয়েছে, তাঁদের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ক ইউনিটে আর সবচেয়ে কম চ ইউনিটে। আসনপ্রতি প্রতিযোগীর সংখ্যার দিক থেকেও সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে ক ইউনিটে আর সবচেয়ে কম হয়েছে খ ও গ ইউনিটে। ক ইউনিটে ১ হাজার ৮৫১ আসনের বিপরীতে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭১২ জন (আসনপ্রতি প্রার্থী ৬২ জন), খ ইউনিটে ১ হাজার ৭৮৮ আসনের বিপরীতে ৫৮ হাজার ৫৫৪ জন (আসনপ্রতি প্রার্থী ৩৩ জন), গ ইউনিটে ৯৩০ আসনের বিপরীতে ৩০ হাজার ৬৯৫ জন (আসনপ্রতি প্রার্থী ৩৩ জন), ঘ ইউনিটে ১ হাজার ৩৩৬ আসনের বিপরীতে ৭৮ হাজার ৩১ জন (আসনপ্রতি ৫৮ জন) ও চ ইউনিটে ১৩০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৭ হাজার ৩৫৬ শিক্ষার্থী (প্রতি আসনে ৫৬ জন)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক, খ, গ ও ঘ ইউনিটে এবার মোট ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৪০ নম্বরের লিখিত অংশ ছিল। দুই অংশের উত্তর দেওয়ার জন্য ৪৫ মিনিট করে মোট ৯০ মিনিট সময় ছিল। আর চ ইউনিটে সাধারণ জ্ঞান অংশে ৪০ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষা হবে। এর উত্তর দেওয়ার জন্য সময় থাকবে ৩০ মিনিট।
এ পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে পরে মেধাক্রম অনুযায়ী ১ হাজার ৫০০ জন ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। ওই পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ থাকবে ৪৫ মিনিট। পাঁচটি ইউনিটেই প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ওপর ১০ করে মোট ২০ নম্বর যোগ করে মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হবে।