আনন্দ ও বিজ্ঞানকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে
করোনাকালে প্রায় দুই বছর স্কুলে অনুপস্থিতি শিক্ষার্থীদের একদিকে যেমন শিখনঘাটতির মুখোমুখি করেছে, তেমনি নিজেদের আনন্দ-বেদনা ভাগাভাগি করাও কমিয়ে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের আনন্দের সঙ্গে জ্ঞানচর্চা ও পরস্পরের পাশে দাঁড়ানোর মধ্যে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রাণ ফিরে পাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর লালবাগের রায়হান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এক সমাবেশে শিক্ষক ও অতিথিরা এই অভিমত ব্যক্ত করেন। প্রথম আলো, মাসিক কিশোর আলো, বিজ্ঞানচিন্তা ও চলতি ঘটনার সহযোগিতায় কলেজ কর্তৃপক্ষ এ সমাবেশের আয়োজন করে। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ রহিমা আফরোজ মিলির সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর ডিজিটাল রূপান্তর ও যুব কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মুনির হাসান।
দীর্ঘ দুই ঘণ্টাব্যাপী আয়োজনে মুনির হাসান শিক্ষার্থীদের আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত হতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনুসারী হয়ে ওঠার আহ্বান জানান। শিক্ষার্থীরা কখনো ইতিহাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে একই বছরে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশের বিজ্ঞানাচার্যকে খোঁজে, কখনো গ্যালিলিওর সঙ্গে স্টিফেন হকিংয়ের সম্পর্ক জেনে আবার ফিরে আসে ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতাসংগ্রামে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের হাতিয়ার ডিজিটাল প্রযুক্তির নানা দিকও তারা জেনে নেয় এর ফাঁকে।
আয়োজন শেষে কলেজের অধ্যক্ষ রহিমা আফরোজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রাণবন্ত এই অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক নতুন দিক উন্মোচন করছে বলে আমি মনে করি। মুনির হাসান স্যার প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে দুই ঘণ্টার অধিক সময় তাদের বিভিন্ন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং সাম্প্রতিক বিষয়কে মুখ্য করে কার্যক্রমে সংযুক্ত রেখেছিলেন নিজেই মূল সমন্বয়ক হিসেবে।
এ আয়োজনে শিক্ষা ও বিজ্ঞানভিত্তিক সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমের যে সমন্বয় করা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক হিসেবে আমি বুঝতে পারি, কর্ম ও জীবনমুখিতা সম্পর্কে বিজ্ঞানের চেতনায় উজ্জীবিত করে রাখতে এবং দৈনন্দিন জীবনে আগামী প্রজন্মকে দেশপ্রেমী করতে এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত করা উচিত। এর ধারণ ও বিস্তরণের মাধ্যমে আগামীর প্রজন্ম বিজ্ঞান–দর্শনের সঙ্গে বিজ্ঞানের মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠবে।’
সমাবেশে কুইজের তাৎক্ষণিক ও সঠিক জবাব দিয়ে ১০ শিক্ষার্থী জিতে নেয় আকর্ষণীয় পুরস্কার। কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সার্কুলেশন ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রওনক।