বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ
শিক্ষকঘাটতি নিয়ে জোড়াতালির পাঠদান আর কত দিন
সরকারি কলেজগুলোয় পুরোনো কাঠামোর জনবল অনুযায়ীই শিক্ষকের ২০ শতাংশ পদ ফাঁকা, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই হার ১৬ শতাংশ।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ছয় শ। বর্তমানে এই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষক আছেন মাত্র পাঁচজন। অর্থাৎ গড়ে ১৩০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন সরকারি শিক্ষক আছেন। অথচ জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী গড়ে ৩০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন করে শিক্ষক থাকার কথা ছিল।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীনেশ চন্দ্র রায় গত মঙ্গলবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বললেন, শিক্ষকের অভাবে তাঁরা খুবই সমস্যায় আছেন। পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানে পড়ানো যাচ্ছে না। একই কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির এসএসসির ফলাফলও খুব ভালো হচ্ছে না। শিক্ষকসংকট মেটাতে সাতজন ‘খণ্ডকালীন শিক্ষক’ রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এককালীন কিছু টাকা নিয়ে স্থানীয় তরুণদের ‘খণ্ডকালীন শিক্ষক’ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে কোনোমতে পাঠদান চালিয়ে নিচ্ছেন। মাসে তাঁদের তিন-চার হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হয়। তাঁরা সরকারি শিক্ষক চেয়েও পাচ্ছেন না।
বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজে গড়ে ১৯৪ শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক রয়েছেন।
শিক্ষকের এই সংকট শুধু এই দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নয়। সারা দেশের সরকারি কলেজ ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় কমবেশি শিক্ষকসংকট রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি কলেজগুলোয় পুরোনো কাঠামোর জনবল অনুযায়ীই ২০ শতাংশ পদ ফাঁকা। একইভাবে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১৬ শতাংশ শিক্ষকের পদ ফাঁকা। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। এরই মধ্যে চলতি বছর থেকে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমে হাতে-কলমে শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এত কম শিক্ষক দিয়ে এই শিক্ষাক্রম ঠিকমতো কতটা বাস্তবায়ন করা যাবে, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষকঘাটতি দূর করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আজ ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ঘটা করে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’। দিবসটি এবার সরকারিভাবে পালন করা হচ্ছে। গত মাসের শুরুর দিকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় শিক্ষক দিবসের পরিবর্তে প্রতিবছর ৫ অক্টোবর ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত হয়। দিবসটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দিবস উদ্যাপন-সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘খ’ তালিকাভুক্ত করারও সিদ্ধান্ত হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের উপস্থিতিতে শিক্ষক দিবস উদ্যাপন করা হবে। এ ছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা ও সেমিনার আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এবারের বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য ‘কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার জন্য শিক্ষক: শিক্ষক স্বল্পতা পূরণে বৈশ্বিক অপরিহার্যতা’।
মাউশির তথ্য অনুযায়ী, পুরোনো ৩৫২ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের ১ হাজার ৮১৭টি পদ শূন্য
৬৫৪ সরকারি কলেজ শূন্য পদ আছে ৩ হাজার ২৩৭টি
মাধ্যমিকে শিক্ষকসংকট
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে সরকারি করা বিদ্যালয়গুলো মিলিয়ে বর্তমানে সারা দেশে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ৬৯২টি। তবে নতুন করে সরকারি হওয়া সব বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এখনো সরকারি খাতে আসতে পারেননি। তাঁদের রাজস্ব খাতে আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। পুরোনো ৩৫২টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের মোট পদ ১১ হাজার ৬১০। এর মধ্যে ১ হাজার ৮১৭টি পদ শূন্য।
মাউশির একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলছিলেন, প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ আরও ১৩৫ সহকারী শিক্ষক অবসরে যাচ্ছেন। এর অর্থ নতুন করে শূন্য পদের হিসাবে এগুলোও যোগ হবে।
মাউশির তথ্য বলছে, শূন্য পদগুলোর মধ্যে বেশি হচ্ছে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের। এর মধ্যে বাংলা বিষয়ে শূন্য পদ ২৭২টি ও ইংরেজিতে ২৩৫টি। বিজ্ঞানেও তুলনামূলকভাবে শিক্ষকের ঘাটতি বেশি। যেমন ভৌত বিজ্ঞানে শিক্ষকের ১৯৯টি ও জীববিজ্ঞানে ১৮৭টি পদ শূন্য। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে শূন্য পদ ২১৩টি। শুধু এই কয়টি বিষয় নয়, কমবেশি প্রায় সব বিষয়েই শিক্ষকের পদ শূন্য পড়ে আছে।
শুধু সহকারী শিক্ষকের পদই নয়, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক পদের শূন্য তালিকাও বেশ লম্বা। সহকারী প্রধান শিক্ষকের অনুমোদিত ৪৬৫টি পদের মধ্যে ৪৬২টি পদই শূন্য। আর প্রধান শিক্ষকের ৪০টি পদ শূন্য।
আবার মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম যাঁরা পরিবীক্ষণ (মনিটরিং) করেন, সেসব শিক্ষা কর্মকর্তার পদের অনেকগুলো শূন্য পড়ে আছে। এর মধ্যে সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ৬৪টি পদের সবই ফাঁকা। আর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ১৩টি পদ শূন্য। নয়টি উপপরিচালকের সব পদই চলছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দিয়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষক কম থাকায় সরকারি বিদ্যালয়গুলোয় সমস্যা হচ্ছে। এখন সহকারী শিক্ষক পদ পূরণের চেষ্টা চলছে। এ জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কিন্তু নতুন করে সৃষ্টি করা জ্যেষ্ঠ শিক্ষক পদ নিয়োগবিধিতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন না।
সরেজমিন চিত্র
জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী, মাধ্যমিকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১: ৩০ হওয়ার কথা থাকলেও বেশির ভাগ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তা নেই। বরং অনেক বিদ্যালয়ে একেকটি ক্লাসে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাস করতে হয় শিক্ষকদের।
গতকাল বুধবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দেখা যায়, অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ে ক্লাস নিচ্ছেন জীববিজ্ঞানের শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। ৫৭ ছাত্রীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৫১ জন। ইমা হাসান নামের এক শিক্ষার্থী মানুষের মস্তিষ্কের ওজন কতটুকু, তা জানতে চাইলে শিক্ষক সমাধান দিচ্ছিলেন।
তৃতীয় তলায় গিয়ে দেখা যায়, সপ্তম শ্রেণির স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে পড়াচ্ছেন সহকারী শিক্ষক অপু সরকার। এই ক্লাসে ৫৯ ছাত্রীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৫৪ জন।
নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রানী সরকার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ে চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রভাতি ও দিবা শাখায় মোট শিক্ষার্থী ১ হাজার ৪৫৬ জন। বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকের অনুমোদিত পদ আছে ৫২টি। কিন্তু সহকারী প্রধান শিক্ষকের দুটি, ব্যবসায় শিক্ষার দুটি ও সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষকের একটি পদ ফাঁকা।
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর অবস্থাও একই ধরনের। বর্তমানে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে সাত হাজার শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা চলছে।
সরকারি কলেজের চিত্র
মাউশির সূত্রে জানা গেছে, দেশে নতুন–পুরোনো মিলিয়ে মোট ৬৫৪টি সরকারি কলেজ রয়েছে। পুরোনো জনবল–কাঠামো অনুযায়ী সরকারি কলেজ ও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের মোট সৃষ্ট পদ আছে ১৫ হাজার ৯০৩। বর্তমানে এসব পদের বিপরীতে কর্মরত শিক্ষক আছেন ১২ হাজার ৬৬৬ জন। এখন শূন্য পদ আছে ৩ হাজার ২৩৭টি। অধ্যাপক পদে ৫২৯টি পদের মধ্যে শূন্য আছে ৮৬টি, সহযোগী অধ্যাপক পদে ২ হাজার ২৬৫টি পদের মধ্যে শূন্য ৪৭৩টি, সহকারী অধ্যাপক পদে ৪ হাজার ৪২৮টি পদের মধ্যে শূন্য ৬৯০টি। আর প্রভাষকের ৮ হাজার ৬৮১টি পদের মধ্যে শূন্য পড়ে আছে ১ হাজার ৯৮৮টি।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবীর চৌধুরী গত সোমবার তাঁর দপ্তরে বসে প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষকসংকটের কারণে সরকারি কলেজগুলো বেশ সমস্যার মধ্য দিয়ে সময় পার করেছে। মানসম্মত শিক্ষা চাওয়া হচ্ছে, কিন্তু শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই।
শাহেদুল খবীর অভিযোগ করেন, শিক্ষকের এই সংকট দীর্ঘদিন ধরে লালন করা হচ্ছে, যাতে এই অভাব থেকে যায়। মানসম্মত শিক্ষার জন্য শিক্ষকসংকট যেমন দূর করতে হবে, তেমনি শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধাও বাড়াতে হবে, যাতে মেধাবী চাকরিপ্রার্থীরা এই পেশায় আকৃষ্ট হন।
মাউশির একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে, শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টির প্রস্তাব নিয়ে কয়েক বছর ধরে কেবল আলোচনা ও তথ্য বিনিময় হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ওই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলেও সংকট অনেকটা দূর হতো। এখন অনেকটা আগের মতো করে বলা হচ্ছে, আলাদা কলেজে হিসাব করে পদ সৃষ্টি করতে।
এটি খুবই বাজে একটি সিদ্ধান্ত বলে তাঁরা মনে করেন। কারণ, যত দিন ধরে এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তত দিন আলাদা কলেজ হিসাব করে পদ সৃষ্টি করার কথা বলা হয়নি। এটা করা তো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। শুরু থেকে এই পথে এগোলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। এখনো সেই পুরোনো সমস্যাই জিইয়ে রাখা হচ্ছে।
মাউশির কর্মকর্তারা বলছেন, এত দিন চলে গেল। ১৯৮২ সালের প্রশাসনিক সংস্কারসংক্রান্ত এনাম কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী পদ সৃষ্টি
করা হয়নি। সেটি হলেও সমস্যার অনেকটা সমাধান হতো।
শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষকসংকটের কারণে কলেজগুলোর পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। যেমন বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজে এখন ১২ হাজারের মতো শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। এ কলেজে উচ্চমাধ্যমিক থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়ানো হয়। এর মধ্যে ১৪টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও সাতটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে শিক্ষার্থী পড়ানো হয়। এই বিপুল শিক্ষার্থীদের জন্য মোট শিক্ষক আছেন ৬২ জন। তাঁরাই উচ্চমাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পাঠদান করছেন।
শাহ সুলতান কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক কম। কিছু খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে তিনি পড়ালেখার কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন।
শিক্ষকসংকট নিয়ে এখন কর্মরত অনেক শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব। তাঁরা অনেকটা প্রকাশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব সমস্যা নিয়ে কথা বলছেন। এ ছাড়া বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ডাকে বৈষম্য নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে ধাপে ধাপে আন্দোলন চলছে।
চলতি বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এই শিক্ষাক্রমে পড়ানোর যে ধরন, তাতে শিক্ষক যেমন বেশি লাগবে, তেমনি শিক্ষকের সহায়কমূলক ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। অথচ শিক্ষকের বিপুল ঘাটতি। এ অবস্থায় নতুন শিক্ষাক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়ন নিয়ে অনেকে সন্দিহান।
দরকার পরিকল্পনা
জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন কোর কমিটির সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক এম তারিক আহসান প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়টি একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। এ জন্যই এবার শিক্ষকের ঘাটতির বিষয়টি শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষকের ঘাটতি পূরণ করতে হবে। স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে এই কাজটি করতে হবে। মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে। আর এ জন্য শিক্ষকদের বেতন ও সামাজিক মর্যাদা বাড়াতে হবে।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন প্রতিনিধি, নেত্রকোনা]