২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

উপাচার্য পেল দুই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়
ফাইল ছবি

দীর্ঘদিন শূন্য থাকার পর নিয়মিত উপাচার্য পেল দেশের দুটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিতে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। আর খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কাসেম চৌধুরী।

উপাচার্যদের মেয়াদ হবে চার বছর। অবশ্য আচার্য চাইলে যেকোনো সময় তা বাতিল করতে পারবেন। উপাচার্য পদে তাঁরা বর্তমান পদের (অধ্যাপক) সমপরিমাণ বেতন পাবেন। তবে বিধি মোতাবেক পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা পাবেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নতুন উপাচার্যদের সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ উপাচার্য অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূরের মেয়াদ শেষ হয় গত জুনে। এর পর থেকে নিয়মিত উপাচার্য ছাড়াই চলছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি। অবশ্য পরে একজন সহ–উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এখন নিয়মিত উপাচার্য পেল বিশ্ববিদ্যালয়টি।

অন্যদিকে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ উপাচার্য শহীদুর রহমান খানের মেয়াদ শেষ হয় গত ১১ সেপ্টেম্বর। এর পর থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদটি শূন্য ছিল। শহীদুর রহমান অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি করে নতুন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে নিজের ছেলে, মেয়ে, শ্যালক-শ্যালিকার ছেলে ও ভাতিজাকে নিয়োগ দিয়েছেন। সব মিলিয়ে উপাচার্য নিজের পরিবারের সদস্য-আত্মীয়দের মধ্যে নয়জনকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি তাঁর স্ত্রীকেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নিয়োগে অনিয়মের এসব চিত্র বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্তে প্রমাণিত হয়। এ জন্য উপাচার্যের এই ৯ আত্মীয়স্বজনের নিয়োগ বাতিল করতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ‘বিষয় বিশেষজ্ঞ’ ছাড়া একই ব্যক্তিদের দিয়ে বাছাই বোর্ড গঠন করে ২০টি বিষয়ে নিয়োগ দেওয়া ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগও বাতিল করতে বলেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।