নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখো
সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ। এ বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে হবে। সুন্দরবনে বাঘ ছাড়াও আছে নানা রকমের হরিণ। কোনোটার বড় বড় শিং, কোনোটার গায়ে ফোঁটা ফোঁটা সাদা দাগ। এদের বলে চিত্রা হরিণ।
একসময় সুন্দরবনে প্রচুর গন্ডার ছিল, ছিল হাতি, ছিল বুনো শুয়োর। এখন এসব প্রাণী আর নেই। তবে দেশের রাঙামাটি আর বান্দরবানের জঙ্গলে হাতি দেখতে পাওয়া যায়। যেকোনো দেশের জন্যই জীবজন্তু, পশুপাখি এক অমূল্য সম্পদ। দেশের জলবায়ু, আবহাওয়া, গাছপালা, বৃক্ষলতা ইত্যাদির প্রাকৃতিক পরিমণ্ডলেই সে দেশের প্রাণিকুল জীবন ধারণ করে। একটু লক্ষ করলেই দেখা যাবে, পৃথিবীতে অপ্রয়োজনীয় প্রাণী বা বৃক্ষলতা বলতে কিছু নেই।
একসময় আমাদের দেশে প্রচুর শকুন দেখা যেত। শকুন দেখতে খুব সুন্দর পাখি, তা কিন্তু নয়। এরা উড়ে বেড়ায় আকাশের অনেক ওপরে। বাসা করে গাছের ডালে। মানুষের পক্ষে যা ক্ষতিকর, সেই সব আবর্জনা শকুন খায় এবং পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখে। কিন্তু শকুন এখন বাংলাদেশে বিলুপ্তপ্রায় পাখি।
প্রাণী, বৃক্ষলতা সবকিছুই প্রকৃতির দান। তাকে ধ্বংস করতে নেই। ধ্বংস করলে নেমে আসে নানা বিপর্যয়—বন্যা, খরা, ঝড় ইত্যাদি। পশুপাখি ও জীবজন্তু প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে মিলেমিশে থাকে।
১. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখো।
গা, প্রচুর, আর্বজনা, জঙ্গল, মিলেমিশে, বিলুপ্ত, পরিচ্ছন্ন
উত্তর
গা――――――――――শরীর
প্রচুর―――――――――অনেক
আবর্জনা―――――――ময়লা
জঙ্গল――――――――বন
মিলেমিশে――――――একসঙ্গে
বিলুপ্ত――――――――যা লোপ পেয়েছে
পরিচ্ছন্ন―――――――পরিষ্কার
২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
ক. জীবজন্তু ও পশুপাখিকে অমূল্য সম্পদ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর: জীবজন্তু ও পশুপাখি প্রকৃতির দান। পরিবেশ রক্ষায় এরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে এদের অমূল্য সম্পদ বলা হয়েছে।
খ. পৃথিবীতে অপ্রয়োজনীয় প্রাণী বা গাছপালা বলতে কিছু নেই কেন? চারটি বাক্যে লেখো।
উত্তর: প্রতিটি প্রাণী বা গাছপালাই পরিবেশের অংশ। এরা প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে মিলেমিশে থাকে। এ সবকিছুই কোনো না কোনো কাজে লাগে বলে যেকোনো দেশের জন্যই জীবজন্তু ও পশুপাখি অমূল্য সম্পদ। আর তাই পৃথিবীতে অপ্রয়োজনীয় প্রাণী বা বৃক্ষলতা বলতে কিছু নেই।
গ. প্রাণী, বৃক্ষলতা এসব ধ্বংস না করতে বলার চারটি কারণ লেখো।
উত্তর: প্রাণী, গাছপালা এসব প্রাকৃতিক সম্পদ। পৃথিবীতে অপ্রয়োজনীয় প্রাণী বা বৃক্ষলতা বলতে কিছু নেই। কোনো কারণে এসব ধ্বংস হলে নেমে আসে নানা বিপর্যয়—বন্যা, খরা, ঝড় ইত্যাদি। এগুলো আমাদের পরিবেশকে বসবাসের উপযোগী রাখে।
খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
এই বিষয়ের প্রকাশিত পূর্বের পাঠ্যবই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ | পরবর্তী পাঠ্যবই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ