প্রশ্ন: রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কী প্রয়োজন? নিয়মিত কর দেওয়া উচিত কেন? নিয়মিত কর দেওয়ার চারটি সুফল লেখো।
উত্তর: রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন।
রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা এবং নাগরিকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য আয়কর প্রদানের যোগ্য ব্যক্তিদের কর দেওয়া উচিত।
নিয়মিত কর দেওয়ার চারটি সুফল হলো—
১. রাষ্ট্র বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারে।
২. বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা পাওয়া যায়।
৩. দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্ভব হয়।
৪. দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়।
প্রশ্ন: নাগরিক কারা? রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের চারটি কর্তব্য লেখো।
উত্তর: যারা রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করে এবং রাষ্ট্রের যাবতীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য সুষ্ঠুভাবে পালন করে ও অধিকার ভোগ করে তারাই নাগরিক।
রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের চারটি কর্তব্য হলো—
১. রাষ্ট্র প্রদত্ত শিক্ষা লাভ করা।
২. রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা।
৩. আইন মেনে চলা।
৪. রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করা।
প্রশ্ন: জাতিসংঘ কখন গঠিত হয়? এটি কী রূপ সংগঠন? জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখো।
উত্তর: জাতিসংঘ ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর গঠিত হয়। জাতিসংঘ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো—
১. সাধারণ পরিষদ জাতিসংঘের আইনসভার মতো। বিশ্ব শান্তি ও সহযোগিতা রক্ষায় এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
২. জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বিভিন্ন সদস্য শাখার নির্বাচন, বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজ এ পরিষদ করে থাকে।
৩. এ পরিষদে প্রতিবছরে একবার অধিবেশন হয় এবং একজন সভাপতি নির্বাচিত হন।
৪. এ পরিষদ আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তাসহ মানবাধিকার–সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করে।
প্রশ্ন: জাতিসংঘ কী? এটি গঠিত হয়েছে কেন? জাতিসংঘের চারটি উন্নয়নমূলক সংস্থার নাম লেখো।
উত্তর: জাতিসংঘ হলো বিশ্বের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক সংগঠন। জাতিসংঘ গঠিত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি ও সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য। জাতিসংঘের চারটি উন্নয়নমূলক সংস্থা হলো—
ইউনিসেফ: এর পুরো নাম জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক শিশু তহবিল।
বিশ্বব্যাংক: বিশ্বব্যাংক বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পে সাহায্য দিয়ে থাকে।
ইউএনডিপি: এর মূল কাজ বিভিন্ন দেশের উন্নয়নে কাজ করা এবং জাতিসংঘের কাজগুলোর সমন্বয় সাধন করা।
ইউনেসকো: এটি সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাবিষয়ক সংস্থা।
প্রশ্ন: ইউনেসকো কী? এর উদ্দেশ্য কী? বাংলাদেশের ঐতিহ্য রক্ষায় ইউনেসকোর অবদান সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখো।
উত্তর: ইউনেসকো জাতিসংঘের একটি সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাবিষয়ক সংস্থা। ইউনেসকোর প্রধান উদ্দেশ্য সংস্কৃতি ও শিক্ষাবিষয়ক উন্নয়ন। বাংলাদেশের ঐতিহ্য রক্ষায় ইউনেসকোর অবদান চারটি বাক্যে নিচে উল্লেখ করা হলো—
১. ইউনেসকোর উদ্যোগে আমাদের ভাষাশহিদ দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’–এর মর্যাদা লাভ করেছে।
২. আমাদের দেশের নওগাঁর পাহাড়পুর বা সোমপুর বৌদ্ধবিহার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রক্ষায়ও ইউনেসকো ভূমিকা রাখছে।
৩. সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ সংরক্ষণে ইউনেসকো সহায়তা করছে।
৪. বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায়ও ইউনেসকো সহযোগিতা করছে।
প্রশ্ন: সার্কের পূর্ণ রূপ কী? সার্ক কত সালে গঠিত হয়? সার্ক গঠনের চারটি উদ্দেশ্য লেখো।
উত্তর: সার্কের পূর্ণ রূপ হলো দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা।
সার্ক ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর গঠিত হয়।
সার্ক গঠনের চারটি উদ্দেশ্য হলো —
১. সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থার দ্রুত উন্নয়ন করা।
২. দেশগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি ও পরস্পর মিলেমিশে চলা।
৩. সদস্য দেশগুলোর স্বাধীনতা রক্ষা ও ভৌগোলিক সীমা মেনে চলা।
৪. এক রাষ্ট্র কর্তৃক অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা।
রাবেয়া সুলতানা, শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা
এই বিষয়ের প্রকাশিত পূর্বের কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন
পঞ্চম শ্রেণির প্রকাশিত পরবর্তী পড়া