নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখো
বাংলাদেশের প্রায় সব মানুষ বাংলায় কথা বলে। আমরা বাঙালি। তবে আমাদের দেশে যেমন রয়েছে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য, তেমনি রয়েছে মানুষ ও ভাষার বৈচিত্র্য। বাংলাদেশের পার্বত্য জেলাগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজন। তাদের কেউ চাকমা, কেউ মারমা, কেউ মুরং, কেউ তঞ্চঙ্গা প্রভৃতি। এ ছাড়া রাজশাহী আর জামালপুরে সাঁওতাল ও রাজবংশীদের বসবাস। তাদের রয়েছে নিজ নিজ ভাষা। একই দেশ একই মানুষ, অথচ কত বৈচিত্র্য। এটাই বাংলাদেশের গৌরব। সবাই সবার বন্ধু, আপনজন। এ দেশে রয়েছে নানা ধর্মের লোক। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান। সবাই মিলেমিশে আছে যুগ যুগ ধরে। এ রকম খুব কম দেশেই আছে। আমাদের বাংলাদেশের বাইরেও অনেক বাঙালি আছে।
১. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখো।
ক্ষুদ্র, গৌরব, যুগ, বৈচিত্র্য, খুব।
উত্তর
ক্ষুদ্র――――ছোট
গৌরব―――মর্যাদা
যুগ――――১২ বছরে ১ যুগ
বৈচিত্র্য―――বিভিন্নতা
খুব――――প্রচুর পরিমাণে
২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
ক. আমরা কোন দেশে জন্মগ্রহণ করেছি বলে গর্ব করি? আমাদের দেশের বৈচিত্র্যসমূহ কী কী?
উত্তর: আমরা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি বলে গর্ববোধ করি। আমাদের দেশে যেমন রয়েছে প্রকৃতির বৈচিত্র্য, তেমনি রয়েছে মানুষ ও ভাষার বৈচিত্র্য।
খ. বাংলাদেশের কোন এলাকায় ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজন বসবাস করে? চারটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নাম লেখো।
উত্তর: বাংলাদেশের পার্বত্য জেলাগুলোতে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজন বসবাস করে। চাকমা, মারমা, মুরং, তঞ্চঙ্গা বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য চারটি ক্ষুদ্র জাতিসত্তা। রাজশাহী আর জামালপুরে বসবাস করে সাঁওতাল ও রাজবংশী।
গ. বাংলাদেশে নানা ধর্মের মানুষ কীভাবে বসবাস করে?
উত্তর: বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বাস করে। তারা সবাই আপনজনের মতো মিলেমিশে আছে যুগ যুগ ধরে। এ রকম খুব কম দেশেই আছে।
খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
এই বিষয়ের প্রকাশিত পূর্বের পাঠ্যবই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ | পরবর্তী পাঠ্যবই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ