নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও
প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক শাওনের। প্রকৃতির সব উপাদানই তার ভালো লাগে। ঘাসের প্রতিও প্রবল মায়া তার। ঘাসি যেদিন ঘাস কাটতে আসে, সেদিন সারাক্ষণ মন খারাপ করে বসে থাকে শাওন । ঘাসের মাঝে মাথা তোলা ছোট ছোট উদ্ভিদ আর বাহারি ঘাসফুলগুলোর জন্য ওর কান্না পায়। পাখিতে খাওয়া নিমফলের বিচি পড়ে ছোট ছোট চারা বেরিয়েছে। কী সুন্দর তার পাতা! কিন্তু সবই নিড়ানি দিয়ে উপড়ে ফেলা হয়। শাওনের এতে বেশ আপত্তি। কেউ গাছ থেকে ফুল ছিঁড়লেও ভারি ব্যথা পায় সে। ফুলগুলো গাছেই বেশি মানায়, ফুল ছিঁড়লে গাছের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। এমনটাই নিজের ভেতরে অনুভব করে শাওন। মানুষের মতোই গাছের বা ফুলেরও প্রাণ আছে। এদেরও আছে আনন্দ, বেদনা ইত্যাদির অনুভূতি।
৩. উপযুক্ত শব্দটি বাছাই করে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করে উত্তরপত্রে লেখো।
শব্দ――――শব্দার্থ
মায়া――――মমতা, টান
নিবিড়―――–গভীর
প্রিয়তম―――সবচেয়ে বেশি প্রিয়
গভীর――――অত্যন্ত শক্তশালী
বাহারি―――–শোভাযুক্ত
সৌন্দর্য―――রূপ
ক. গ্রামের ___ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।
খ. সব খাবারের মধ্যে খুকুর ____ খাবার মাছ মিষ্টি।
গ. অমাবস্যার রাতে অন্ধকার ____ হয়ে ওঠে।
ঘ. ____ বৃষ্টিতে মাঠঘাট সব ডুবে গেছে।
ঙ. দরিদ্রের প্রতি _____ করা চরিত্রের মহৎ গুণ।
৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. সৌন্দর্য খ. প্রিয়তম গ. নিবিড় ঘ. প্রবল ঙ. মায়া
৪. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
ক. যারা ঘাস কাটে, তাদের কী বলা হয়? শাওনের মন খারাপ হয় কেন, চারটি বাক্যে লেখো।
উত্তর: যারা ঘাস কাটে, তাদের বলা হয় ঘাসি। শাওন গাছপালাকে খুব পছন্দ করে। এ কারণে ঘাসের প্রতি তীব্র মমতা অনুভব করে সে। তাই ঘাসি ঘাস কাটতে এলে তার খুব মন খারাপ হয়। ঘাস কাটার সময় ঘাসের কষ্টের কথা ভেবেও শাওনের মন কষ্টে ভরে ওঠে।
খ. গাছপালা নিয়ে শাওনের ভাবনা পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর: সব ধরনের গাছপালার প্রতিই প্রবল টান শাওনের। সে মনে করে, মানুষের মতোই গাছেরও আনন্দ, কষ্ট ইত্যাদি অনুভূতি আছে। শাওনের ইচ্ছে হয়, সে নিজের মতো তার গাছের যত্ন নেবে। মানুষের মতো গাছপালার প্রতিও শাওন ভালোবাসা অনুভব করে। তাই গাছ কাটা বা ফুল ছেঁড়া ইত্যাদি দেখলে খুব কষ্ট পায় শাওন।
গ. শাওনকে দেখে তুমি কোন বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করতে পারো, তা পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর: শাওনকে দেখে আমি প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা অনুভব করতে পারি। শাওন যেমন গাছপালা ভালোবাসে, আমিও তেমনটি করতে পারি। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের যে অবদান রয়েছে, সে কথা চিন্তা করে গাছ লাগাতে পারি। শাওনের মতো গাছপালার যত্ন নিতে পারি। শাওনের মধ্যে যে প্রকৃতিপ্রেমী মনোভাব আছে, তা আমার মধ্যেও জাগ্রত করতে পারি।
খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
এই বিষয়ের প্রকাশিত পূর্বের পাঠ্যবই-বহির্ভূত অনুচ্ছেদ | পরবর্তী পাঠ্যবই-বহির্ভূত অনুচ্ছেদ