অধ্যায় ২
সৃজনশীল প্রশ্ন
নিচের চিত্র দেখে প্রশ্নের উত্তর দাও
প্রশ্ন
ক. নিফে (NiFe) কী?
খ. ব্যাসল্ট স্তরকে মেফিক স্তর বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকের চিত্র-খ–এ পর্বতটির বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের চিত্র-ক ও চিত্র-খ-এ পর্বতদ্বয়ের গঠনগত পার্থক্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তর
ক. কেন্দ্রমণ্ডলের মূল গঠন উপাদান নিকেল (Ni) ও লোহা (Fe); তাই কেন্দ্রমণ্ডল নিফে (NiFe) নামে পরিচিত।
খ. ভূত্বকের ব্যাসল্ট স্তর মূলত মহাসাগরীয় ভূত্বক গঠন করে। এ স্তরে ম্যাগনেশিয়াম ও লৌহজাতীয় সিলিকেট, অতিক্ষারকীয় ব্যাসন্ট শিলা প্রধান উপাদান। তাই একে মেফিক স্তর বলা হয়।
গ. চিত্রে ‘খ’ হলো ভঙ্গিল পর্বত। ভঙ্গিল পর্বতের প্রধান বৈশিষ্ট্য ভাঁজ। কোমল পাললিক শিলায় ভাঁজ পড়ে যে পর্বত গঠিত হয়েছে, তাকেই ভঙ্গিল পর্বত বলে। যেমন হিমালয়। নিচে ভঙ্গিল পর্বতের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করা হলো:
i. গিরিজনি আলোড়নের ফলে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়েছে।
ii. ভূভাগের স্থান পরিবর্তনের ফলে প্রান্তভাগের অংশ বিশেষে ভাঁজের সৃষ্টি হয়ে এ পর্বত গঠিত হয়।
iii. ভঙ্গিল পর্বতে সুউচ্চ শৃঙ্গ থাকে।
iv. স্তরযুক্ত নরম পাললিক শিলা দ্বারা এ পর্বত গঠিত।
v. এ ধরনের পর্বতে জীবাশ্মের (পাললিক শিলায়) উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
vi. এ পর্বতের শিলাস্তরের মধ্যে মাঝে মাঝে আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলা দেখা যায়।
vii. এ পর্বতে দীর্ঘ চ্যুতিরেখা লক্ষ করা যায়।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘ক’এবং ‘খ’ যথাক্রমে স্তূপ পর্বত ও ভঙ্গিল পর্বতের উদাহরণ। পর্বত দুটি বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে ভিন্ন। ভূ–আলোড়নের সময় ভূপৃষ্ঠের শিলাস্তরে প্রসারণ এবং সংকোচনের সৃষ্টি হয়। ফলে ভূত্বকে ফাটলের সৃষ্টি হয়। এ ফাটল বরাবর ভূত্বক ক্রমে স্থানচ্যুতির মাধ্যমে কোথাও উঁচু, আবার কোথাও নিচু হয়। চ্যুতির ফলে উঁচু হওয়া অংশকে স্তূপ পর্বত বলে। যেমন জার্মানির ব্ল্যাক ফরেস্ট। এসব পর্বত ভঙ্গিল পর্বত থেকে অপেক্ষাকৃত নিচু এবং শৃঙ্গবিশিষ্ট নয়। অন্যদিকে সমুদ্র তলদেশের বিস্তৃত অবনমিত স্থানে দীর্ঘকাল ধরে বিপুল পরিমাণ পলি এসে জমা হয়। পরবর্তী সময়ে ভূমিকম্পের ফলে ভূমিখণ্ডের প্রবল পার্শ্বচাপের কারণে ঊর্ধ্ব ও নিম্নভাঁজের সৃষ্টি হয়। এসব ভাঁজবিশিষ্ট ভূমিরূপ মিলেই ভঙ্গিল পর্বত গঠিত হয়। যেমন হিমালয়। এসব পর্বতের সুউচ্চ শৃঙ্গ থাকে এবং এগুলো পর্বতমালা গঠন করে।
এই অধ্যায়ের প্রকাশিত পূর্বের সৃজনশীল প্রশ্ন