অধ্যায় ২
সৃজনশীল প্রশ্ন
নিচের চিত্র দেখে প্রশ্নের উত্তর দাও
প্রশ্ন
ক. ভূত্বকের সংজ্ঞা দাও।
খ. ভঙ্গিল পর্বত কীভাবে সৃষ্টি হয়? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে ‘ক’ চিহ্নিত স্তরটির বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের ‘খ’ ও ‘গ’ চিহ্নিত স্তর দুটোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করো।
উত্তর
ক. পৃথিবীর উপরিভাগের পাতলা কঠিন আবরণকে ভূত্বক বলে।
খ. সমুদ্র তলদেশের বিস্তৃত অবনমিত স্থানে দীর্ঘকাল ধরে বিপুল পরিমাণ পলি এসে জমা হওয়ায় এর চাপে অবনমিত স্থান আরও নিচে নেমে যায়। পরবর্তী সময়ে ভূ–আলোড়ন বা ভূমিকম্পের ফলে এবং পার্শ্ববর্তী সুদৃঢ় ভূমিখণ্ডের প্রবল পার্শ্বচাপের কারণে ঊর্ধ্বভাঁজ ও নিম্নভাঁজের সৃষ্টি হয়। বিস্তৃত এলাকাজুড়ে এসব ঊর্ধ্ব ও নিম্নভাঁজসংবলিত ভূমিরূপ মিলেই ভঙ্গিল পর্বত গঠিত হয়।
গ. চিত্রের ‘ক’ স্তরটি অশ্মমণ্ডল। অশ্মমণ্ডল মহাদেশের তলদেশে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি. এবং গড়ে প্রায় ৩৫ কিমি. পুরু। সমুদ্রের তলদেশে এ স্তর ৩ থেকে ১০ কিমি. এবং গড়ে ৫ কিমি. পর্যন্ত পুরু। অশ্মমণ্ডলকে ২টি স্তরে ভাগ করা হয়েছে, যথা ক) লঘু শিলাস্তর ও খ) গুরু শিলাস্তর। লঘু শিলাস্তরটি ভূপৃষ্ঠ থেকে গড়ে ১২.৮ কিমি. গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত এবং গুরু শিলাস্তরটির ঘনত্ব ২.৯৫-৩ কি.গ্রা./ঘনমিটার।
ঘ. চিত্রের ‘খ’ ও ‘গ’ স্তর দুটি যথাক্রমে গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডল। গুরুমণ্ডল স্তরের গভীরতা প্রায় ২,৯০০ কিমি.। এটি মূলত ব্যাসল্ট শিলায় গঠিত। গুরুমণ্ডলকে আবার দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা ক) বহিঃগুরুমণ্ডল এবং খ) অন্তঃগুরুমণ্ডল। বহিঃগুরুমণ্ডল স্তরটি ১০০ কিমি. থেকে ৭০০ কিমি. পর্যন্ত বিস্তৃত। অন্তঃগুরুমণ্ডল ৭০০ কিমি. থেকে ২৯,০০ কিমি. পর্যন্ত বিস্তৃত। কেন্দ্রমণ্ডলটি গুরুমণ্ডল (২৮৮৫ কিমি.) থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র (৬,৩৭১ কিমি.) পর্যন্ত বিস্তৃত। গুটেনবার্গ বিযুক্তি থেকে এর গভীরতা ৩,৪৮৬ কিমি.। এর মূল উপাদান নিকেল ও লোহা। এ থেকে বোঝা যায়, গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডলের বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা আছে।
মো. শাকিরুল ইসলাম, প্রভাষক, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা