আমদানির নথি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহ করবে ব্যাংক
এখন থেকে আমদানিকারকদের আলাদা করে ব্যাংকে বিল অব এন্ট্রির কপি দাখিল করতে হবে না। ব্যাংকগুলো শুল্ক কর্তৃপক্ষ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই কপি সংগ্রহ করবে। আমদানি মূল্য পরিশোধের পর পণ্য বন্দরে পৌঁছালে তা রিপোর্ট করতে হয়, তা বিল অব এন্ট্রি নামে পরিচিত। আগে আমদানিকারকের এই বিল অব এন্ট্রির কপি সংগ্রহ করে ব্যাংকে জমা দিতে হতো।
পণ্য আমদানি সহজ করতে ও ভোগান্তি কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ আজ মঙ্গলবার এই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের মধ্যে যাতে আমদানিকারকদের স্বস্তি দিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, এখন থেকে শুল্ক কর্তৃপক্ষের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা থেকে বিল অব এন্ট্রি সংগ্রহ করবে আমদানিকারকের ব্যাংক। আমদানির বিপরীতে যে মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে, তা মিলিয়ে দেখবে। এ ক্ষেত্রে শুল্ক-কর পরিশোধ বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে ব্যাংকগুলোকে। এই সুবিধা শুধু স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় পরিচালিত শুল্ক স্টেশনের জন্য প্রযোজ্য হবে।
জানা যায়, আমদানি দায় পরিশোধের বিপরীতে পণ্য দেশে আসা নিশ্চিতে কাগুজে বিল অব এন্ট্রি দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই দলিল দাখিল না করলে আমদানিকারক পরবর্তী সময়ে পণ্য আমদানি করতে পারে না। পণ্য আমদানির নামে যাতে দেশের বাইরে অর্থ পাচার না হয়, এ জন্যই এসব নিয়ম চালু রয়েছে। এখন স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা থেকে নথি সংগ্রহের সুযোগ হওয়ায় আমদানিকারকদের জমা দেওয়া থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে খালাস করা এবং শুল্কায়িত পণ্যের বিল অব এন্ট্রি সংরক্ষিত থাকে। ওই তথ্যভান্ডার থেকে ব্যাংকগুলো নিজেই বিল অব এন্ট্রি সংগ্রহ করে আইএমপি ফরমের সঙ্গে ম্যাচ করতে পারবে। এতে আমদানি বাণিজ্য সহজতর হবে।
অভ্যন্তরীণ বা দেশের বাইরে থেকে যেকোনো পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে গ্রাহককে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দেওয়া আমদানি ম্যাচিং ফরমে (আইএমপি) ঘোষণা দিতে হয়। যেখানে গ্রাহক কী পণ্য আমদানি করছেন, পণ্যের মূল্য কত, কোথা থেকে পণ্য আনা হচ্ছে—এসব তথ্য থাকে। পণ্যটি আমদানির পর আইএমপি ফরমে দেওয়া তথ্যের সঙ্গে প্রকৃত তথ্যের যাচাই করা হয়।