করোনার কারণে রেকর্ড কেনাকাটা কমেছে জাপানে
করোনার বিস্তার রোধে লোকজন ঘরে থাকায় জাপানে বেসরকারি ব্যয় রেকর্ড পরিমাণ কমেছে। সরকারি পরিসংখ্যান দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় মে মাসে বেসরকারি ব্যয় ১৬ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে।
বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০০১ সাল থেকে এই পরিসংখ্যান করা হয়। সেই সময় থেকে এবারই সবচেয়ে বেশি কমেছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, মহামারি বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ এই অর্থনীতিতে কতটা আঘাত হেনেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত সাড়ে চার বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো মন্দায় জাপান।
পরিসংখ্যান বলছে, মানুষের হোটেল, পরিবহন ও বাইরে খেতে যাওয়ার ব্যয় অনেক কমেছে। তবে মাংস, অ্যালকোহল ও মাস্কে ব্যয় বেড়েছে।
করোনা মোকাবিলায় নেওয়া জরুরি অবস্থা মে মাসেই উঠিয়ে নেয় জাপান। যদিও বিধিনিষেধ ততটা শিথিল করা হয়নি; তাই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ধীরে হবে বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। বেসরকারি ব্যয় কমার পাশাপাশি সামনের মাসগুলোয় কর্মসংস্থানের অবস্থাও কিছুটা খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে কমেছে জাপানের প্রকৃত মজুরি।
গত বছরের তুলনায় মে মাসে প্রকৃত মজুরি কমেছে ২ দশমিক ১ শতাংশ, ২০১৫ সালের জুনের পর যা সর্বোচ্চ। প্রকৃত মজুরির ওপরই মূলত বেসরকারি ব্যয় নির্ভর করে।
দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয় বলছে, করোনার প্রভাবে অতিরিক্ত সময়ের কাজের (ওভারটাইম) বেতন কমে যাওয়ায় প্রকৃত মজুরি অনেক কমেছে। গত বছরের তুলনায় ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। ওভারটাইম বেতন ব্যবসায়িক কার্যক্রম নির্ধারণের মূল পরিমাপক হিসেবে দেখা হয়।
মহামারির প্রতিক্রিয়ায় লকডাউন ব্যবস্থার প্রভাবে এ বছর অর্থনীতি ২০ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদেরা। যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ এবং অক্টোবরের শুরুতে কার্যকর হওয়া বিক্রয়কর বৃদ্ধির কারণে চাপে ছিল জাপানের অর্থনীতি। এরপর শুরু হলো করোনা। ব্যবসা ও গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এখন ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে নীতিনির্ধারকেরা।